বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিহারের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হতেই রাজনীতির ময়দানে চাঞ্চল্য। শনিবার সকালে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিরোধী দলনেতা এবং প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav) বিস্ফোরক দাবি করে বলেন, নতুন তালিকায় তাঁর নিজের নামই নেই। সরাসরি প্রশ্ন তোলেন, “আমার নামই যদি না থাকে, আমি কী করে ভোটে দাঁড়াব?”
তেজস্বীর (Tejashwi Yadav) এই মন্তব্য সামনে আসতেই শুধু বিহার নয়, জাতীয় স্তরেও নির্বাচন কমিশনের কাজ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। তিনি জানান, ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনী পর্বে তিনি নিজে গণনা ফর্ম জমা দিয়েছিলেন। অথচ শুক্রবার যে খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে তাঁর নাম দেখা যাচ্ছে না।
“বুথ অফিসার নিজে ফর্ম নিয়েছিলেন” বলেন তেজস্বী (Tejashwi Yadav)
তেজস্বী (Tejashwi Yadav) বলেন, তিনি নিজের নাম, এপিক নম্বর দিয়ে অনলাইনেও খোঁজ করেছেন, কিন্তু কোনও ফল মেলেনি। তাঁর অভিযোগ, বুথ লেভেল অফিসার ব্যক্তিগতভাবে ফর্ম সংগ্রহ করেছিলেন, তা সত্ত্বেও তালিকায় নাম নেই। শুধু তাঁরই নয়, প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে ২০-৩০ হাজার নাম কাটা গিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। গোটা রাজ্যে প্রায় ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে বলে দাবি করেন তেজস্বী।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন যে, কমিশন যে তালিকা দিয়েছে, তাতে ভোটারদের ঠিকানা, বুথ নম্বর কিংবা এপিক নম্বর কিছুই উল্লেখ নেই। ফলে খোঁজ করাই যাচ্ছে না কারা বাদ পড়েছেন।
পাল্টা তালিকা প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন
তেজস্বীর (Tejashwi Yadav) অভিযোগের পরেই নির্বাচন কমিশন পাল্টা জবাব দেয়। কমিশনের তরফে জানানো হয়, খসড়া তালিকায় তেজস্বীর নাম রয়েছে। তাঁকে নিয়েই তৈরি হওয়া বিভ্রান্তি দূর করতে কমিশন একটি তালিকা প্রকাশ করে, যাতে তেজস্বীর নাম, সিরিয়াল নম্বর (৪১৬), হাউস নম্বর (১০) এবং এপিক নম্বর স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ অনুদান ইস্যুতে ফের আইনি লড়াই, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে সিপিএম-বিজেপি জোট
কমিশনের ব্যাখ্যা, তেজস্বী (Tejashwi Yadav) সম্ভবত পুরনো এপিক নম্বর ব্যবহার করে তথ্য খুঁজেছেন, তাই কিছু পাচ্ছেন না। কমিশনের বক্তব্য অনুযায়ী, এই বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝির ফল।