বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবার রাতে কড়া সিদ্ধান্ত নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। সোমবার রাত ৮টা থেকে মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্ত রকম প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় কমিশনের তরফ থেকে। আর কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ দুপুর ১২টা থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসেছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এবার বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার বিরুদ্ধেও কড়া অ্যাকশন নিল নির্বাচন কমিশন। হাবরার বিজেপি প্রার্থী তথা বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে তাঁকে ৪৮ ঘণ্টা প্রচার করা থেকে বিরত রাখল নির্বাচন কমিশন। তিনি আগামী ৪৮ ঘণ্টা প্রচার সহ কোনও বিবৃতিও দিতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, কোচবিহারের শীতলকুচি নিয়ে হাবরা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘শীতলকুচিতে চারজনের বদলে আট জনকে গুলি করা উচিৎ ছিল বাহিনীর।” রাহুল সিনহা বলেছিলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন চারজনকে মারল, আটজনকে কেন মারেনি? এরজন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীকে শোকজ করা উচিৎ।”
রাহুল সিনহা আরও বলেন, ‘বিজেপিকে ভোট দেবে বলে মমতার লোকেরা ১৮ বছরের আনন্দ বর্মণকে গুলি মারে। ও প্রথমবার ভোট দিতে গিয়েছিল। মমতা ওই দুষ্কৃতীদের নেত্রী। কেন্দ্রীয় বাহিনী যোগ্য জবাব দিয়েছে।” রাহুল সিনহার এই মন্তব্যের পর রাজ্য রাজনীতিতে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।
এছাড়াও বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বরানগরে দলীয় প্রার্থী পর্নো মিত্রর সমর্থনে একটি মিছিলে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বলেছিলেন যে, ‘শীতলকুচিতে কি হয়েছে সেটা সভাই দেখেছেন। এবার বেশি বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।” এছাড়াও বিজেপির আরেক নেতা সায়ন্তন বসুও শীতলকুচি নিয়ে চরম বিতর্কিত মন্তব্য করেন।
সোমবার কংগ্রেস এবং বাম নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কমিশনের তরফ থেকে জারি করা নিষেধাজ্ঞাকে সঠিক বলে বিবেচনা করেছিলেন। তাঁরা বলেছিলেন যে, উনি যেভাবে ধর্ম নিয়ে ভাষণ দিচ্ছেন, উস্কানি দিচ্ছেন, তাতে কমিশনের এই পদক্ষেপ একদম উচিৎ। এছাড়াও তাঁরা বলেন, বিজেপির নেতা দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা এবং সায়ন্তন বসুদের বিরুদ্ধেও একই পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ। এখন দেখার বিষয় কমিশন আর কার কার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়।