বাংলা হান্ট ডেস্ক : আর্থিক সংকট (Economic Crisis) থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না পাকিস্তান (Pakistan)। রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই সেদেশের সাধারণ মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে অক্ষম সরকার। অন্যান্য বিলাশিতার কথা তো পাকিস্তানি মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্তরা ভাবতেও পারছে না। এরই মাঝে প্রকাশ্যে এল সেদেশের বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির তথ্য।
প্রকাশ্যে এল সেদেশের বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির তথ্য। গত একবছরে সেদেশে পাকিস্তানের মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে ৩৭.৯৭ শতাংশ। এত হারে এর আগে কোনওদিনই মুদ্রাস্ফীতি দেখেনি পাকিস্তান। বর্তমানে সেদেশের মুদ্রার দাম হু হু করে নামছে। এই পরিস্থিতিতে আজকের দিনে ভারতের এক টাকা সেদেশে ৩.৪৫ টাকার সমান।
এই মুহুর্তে টালমাটাল পাকিস্তানের অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি। একদিকে ইমরান খানের দলের সঙ্গে শাসক দল এবং সেনার সংঘাত। অন্য দিকে আম জনতা এবং তাদের রোজকার সমস্যা উপেক্ষিত হচ্ছে। গত একবছরে একাধিক রিপোর্টে উঠে এসেছে যে রেশনের আটা পেতে গিয়ে হেনস্তা হয়েছেন সাধারণ মানুষ। পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও বেলুনে ভরে রান্নার গ্যাস বিক্রি করা হচ্ছে। তবে গদি ধরে রাখার ছক কষতে গিয়ে সেদেশের সাধারণ মানুষের কথা মনে থাকছে না শাসক গোষ্ঠীর।
এর আগে আইএমএফ থেকে অর্থ সাহায্যের চেষ্টা করেছিল শেহবাজ শরিফের সরকার। তবে পারমাণবিক অস্ত্র সংক্রান্ত ‘শর্তে’র জেরে সেই অর্থ আর পায়নি ইসলামাবাদ। এদিকে জ্বালানির ক্ষেত্রে ভর্তুকি দিয়েও মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা করেছিল সরকার। তহে তাতে কাজ দেয়নি। সরকারও জানে না, কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা যায়।
জানা যাচ্ছে, মদ এবং সিগারেটের মতো মাদকের ক্ষেত্রে মুল্যস্ফীতি ১২৩.৯৬ শতাংশ। এদিকে বিনোদন এবং সংস্কৃতি খাতে মুল্যস্ফীতি ৭২.১৭ শতাংশ। এছাড়া ভ্রমণের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের একবছরের মুল্যস্ফীতি ৫২.৯২ শতাংশ। আলু, আটা, গং, চা, ডিম, চালের দাম আকাশছোঁয়া সেই দেশে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়েও মাঝে মাঝেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পাকিস্তানকে। এই আবহে দিনের বেলায় সরকারি দফতরে আলো, পাখা, এসি বন্ধ রাখার নিদান দেওয়া হয়েছিল মাঝে। শপিং মল রাত আটটার মধ্যে বন্ধ করে দিতে বলা হয়েছিল। এদিকে মন্ত্রী এবং উচ্চপদস্থ সরকারি আমলাদেরও বিলাশিতা ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে তাতে কাজের কাজ হয়নি কিছুই। উল্টে আরি গভীর খাদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান।