বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতে (India) প্রথমবারের জন্য জি-২০ বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। দু’দিন ব্যাপী হওয়া এই সম্মেলন সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে ভারত। এই বৈঠকে অংশগ্রহণকারী সমস্ত বিশ্বনেতারাই ভারতের নামে জয়ধ্বনি দিচ্ছেন। এই সম্মেলন ভারতের জন্য ঐতিহাসিক ছিল, কারণ এই সম্মেলনে ভারত, পশ্চিম এশিয়া এবং ইউরোপের মধ্যে একটি করিডোর তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স এবং প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ বিন সলমন আল সাউদ, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উড়সুলা ভন ডার লেয়েনকে পাশে বসিয়ে এই করিডোরের কথা ঘোষণা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর ফলে ভারত যেমন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে একটি বড় সাফল্য পেল, অন্যদিকে পাকিস্তান (Pakistan) এতে কার্যত হতবাক।
এই চুক্তির ফলে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ তাদের সরকারের চরম সমালোচনায় সামিল হয়েছেন। এমনকী, সেখানকার সাধারণ মানুষ সকলকে জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে দাবি জানাচ্ছেন সরকার পরিবর্তনের। পাকিস্তানি নাগরিকরা তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সরকারের বিরুদ্ধে।
এক পাকিস্তানি নাগরিক সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘ইসলামাবাদের নীতি নির্ধারকদের যদি একটু বুদ্ধি এবং সচেতনতা থাকত, তাহলে ভারত, পশ্চিম এশিয়া এবং ইউরোপ করিডোর পাকিস্তানের মধ্যে দিয়ে যেত এবং আমরাও বিশ্বব্যাপী পর্যটন ও যোগাযোগ কেন্দ্রে পরিণত হতাম। এটা আমাদের সবার জন্য লজ্জার।’
If only policy makers in Islamabad had an iota of intellect and awareness, this India-MiddleEast-Europe Economic Corridor would have passed right through Pakistan and we would have become the hub of global economy, tourism and connectivity. It's a moment of shame for all of us. https://t.co/XJxY10j2oQ
— Raja Porva (@drawaistarar) September 9, 2023
উল্লেখ্য, মধ্যপ্রাচ্যের মাধ্যমে ভারত ও ইউরোপের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনের উদ্যোগেই এই রেল-পোর্ট করিডোর তৈরি করা হয়েছে। এই করিডোরে রেলপথ এবং জলপথ উভয়ই থাকবে। এই অর্থনৈতিক করিডোর করার জন্য ইতিমধ্যে একটি মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। ভারত, জার্মানি, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমির শাহী, আমেরিকা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতিমধ্যেই সেই মউ স্বাক্ষর করেছে। আন্তর্জাতিক মহলে ধারণা, চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের পাল্টা এই আর্থিক করিডোর তৈরি করা হচ্ছে।