বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড় খবর সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এবার ঋণখেলাপি এবং ভারত (India) থেকে পলাতক ব্যবসায়ীদের নাগাল পেতে সরাসরি ব্রিটেনে (Britain) পাড়ি দিচ্ছেন দেশের তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই এই প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থা ANI সরকারের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে যে, ED, CBI ও NIA-র উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে তৈরি হওয়া একটি উচ্চপর্যায়ের দল শীঘ্রই ব্রিটেনে পাড়ি দেবেন।
এমতাবস্থায়, ওই দলটি বিদেশ মন্ত্রকের মাধ্যমে ব্রিটেনের সর্বোচ্চ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিজয় মাল্য, নীরব মোদীদের মতো ব্যবসায়ীদের প্রত্যর্পণের তোড়জোড় শুরু করার চেষ্টা করবে বলেও খবর মিলেছে। তবে, এই সামগ্রিক বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ভারত এবং ব্রিটেনের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী, অর্থনৈতিক অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়া চললে সেক্ষেত্রে এক দেশ অপর দেশের সঙ্গে তদন্ত সংক্রান্ত তথ্য আদানপ্রদান করবে। এদিকে, এর আগেও বিজয় মাল্য এবং নীরব মোদীকে প্রত্যর্পণের চেষ্টা করলেও আইনি জটের কারণে তাতে সফল হওয়া যায়নি। তবে, এবার লোকসভা ভোটের আগে ফের একবার এই বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে তৎপরতার ইঙ্গিত মিলেছে।
আরও পড়ুন: FASTag ব্যবহারকারীরা হয়ে যান সতর্ক! ৩১ জানুয়ারির মধ্যেই করে ফেলুন এই কাজ, নাহলেই পড়বেন দুর্ভোগে
এদিকে, সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই তদন্তকারীদের দলটির নেতৃত্ব দেবেন বিদেশ মন্ত্রকের এক আধিকারিক। পাশাপাশি, ওই দল ব্রিটিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে সেদেশে থাকা ওই ব্যবসায়ীদের নামে-বেনামে সম্পত্তিগুলিকেও বাজেয়াপ্ত করার আবেদন জানাবে। জানা গিয়েছে, কিংফিশার এয়ারলাইন্সের প্রাক্তন মালিক বিজয় মাল্য এবং হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদী, ছাড়াও অস্ত্রব্যবসায়ী সঞ্জয় ভান্ডারীর প্রত্যর্পণের বিষয়েও গতি আনতে চাইছে ভারত। তিনিও বর্তমানে পলাতক।
আরও পড়ুন: শত্রুদেশের ঘুম ওড়াবে আকাশ মিসাইল! কম উচ্চতায় উড়েও নিকেশ করবে শত্রুঘাঁটি, সফল হল পরীক্ষা
সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে ইউপিএ আমলে একাধিক অস্ত্রচুক্তিতে মধ্যস্থতা করার অভিযোগ উঠেছিল। শুধু তাই নয়, ২০১৬ সালে ED এবং আয়কর দফতর তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার পরেই দেশ ছেড়েছিলেন সঞ্জয়। এদিকে, কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্ট বঢরার “ঘনিষ্ঠ” হিসেবে পরিচিত এই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি লন্ডন এবং দুবাইতে সম্পত্তি কিনেছেন।