বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালি (Sandeshkhali) কাণ্ডে নয়া মোড়! শাহজাহানের বিরুদ্ধে এই প্রথম চার্জশিট জমা দিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ইডি পেটানোর মামলায় বর্তমানে ইডি (ED) হেফাজতেই রয়েছেন সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান (Sheikh Sahajahan)। এর আগে কেন্দ্রীয় সংস্থার উপর হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ শেখ শাহজাহানের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তদন্তে নেমে কোটি কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorates)। এবার আরও বড় পদক্ষেপ।
জানা যাচ্ছে, সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে জমি দখল সংক্রান্ত মামলায় চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। গত ফেব্রুয়ারী মাসে গ্রেফতারির ৫৬ দিনের মাথায় সোমবার কলকাতায় বিশেষ ইডি আদালতে জমা পড়েছে ১১৩ পাতার চার্জশিটে। সূত্রের খবর, চার্জশিটে শাহজাহান ছাড়াও নাম রয়েছে শাহজাহানের ভাই আলমগির এবং তার ‘সঙ্গী’ বলে পরিচিত সন্দেশখালির দিদার বক্স ও শিবু হাজরার।
সন্দেশখালিতে জমি দখল সংক্রান্ত বিস্তর অভিযোগ উঠে এসেছিল শাহজাহান ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। ইডি সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৮০ বিঘা জমি শাহজাহান দখল করেছিলেন এবং সেখান থেকে ২৬১ কোটিরও বেশি টাকা হাতিয়েছেন। জমি দখল সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্তের সূত্র ধরেই এই টাকার সন্ধান পেয়েছে ইডি। যার মধ্যে ইতিমধ্যেই ২৭ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেও ইডি সূত্রে খবর। এই বিপুল পরিমাণ টাকার উল্লেখও চার্জশিটে রয়েছে।
কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রের দাবি, এদিন পেশ করা চার্জশিটে এমন কিছু তথ্য রয়েছে, যা পরবর্তীতে শেখ শাহাজাহানের জামিন পাওয়ার ক্ষেত্রে বড়সড় প্রতিরোধক হয়ে দাঁড়াবে। প্রসঙ্গত, জানুয়ারির ৫ তারিখ ইডি পেটানোর ঘটনার পর টানা দুমাসের টানটান উত্তেজনা, তারপর হঠাৎ পুলিশের জালে ধরা পড়ে সন্দেশখালির বাঘ। তারপর প্রথমে সিআইডি, সিবিআই হয়ে বর্তমানে ইডি হেফাজতে সন্দেশখালির বাঘ।
আরও পড়ুন: আজই রেহাই নেই! টানা ৫ দিন ঝড়-বৃষ্টি চলবে বাংলার এই জেলাগুলিতে, জারি হল সতর্কতা
গত জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখ রেশন দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে লাইমলাইটে আসে শাহজাহান নাম। সেই সময় শাহজাহানের অনুগামীদের হাতে মার খেয়ে ফিরে আসতে হয় তদন্তকারীদের। তারপর থেকে সাধারণ মানুষজনের জমি দখল সংক্রান্ত একের পর এক অভিযোগ উঠে এসেছে। উঠে আসে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির অভিযোগও। সেই সংক্রান্ত বিষয়ে ইতিমধ্যেই বিস্তর তদন্ত চালাচ্ছে ইডি-সিবিআই। এরই মাঝে এবার শাহজাহান মামলায় প্রথম চার্জশিট দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।