কমিশনের ১০% নিত কুন্তল, বাকিটা যেত … আদালতে ED-র দাবি ঘিরে তোলপাড়

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কিছুমাস ধরে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) ইস্যুতে রীতিমতো কঙ্কালসার দশা রাজ্যের। শাসক দলের একের পর এক নেতা মন্ত্রীর নাম জড়িয়েছে এই ইস্যুতে। সেই ধারা বজায় রেখে সম্প্রতি দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূল যুব নেতা (TMC Leader) কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh)। “চাকরি প্রার্থী প্রতি ঘুষের টাকার ১০ শতাংশ কমিশন পেতেন তিঁনি, বাকি টাকা পৌঁছে যেত অন্যত্র।” গ্রেফতারির আগ মুহূর্তেও এমন বিস্ফোরক দাবি করেছেন কুন্তল। আদালতে দাবি ইডির (ED)।

কুন্তলের কথা যদি সত্যি হয়, তবে কার কাছে পৌঁছে যেত বাকি টাকা? কার বা কাদের ইঙ্গিত করছেন কুন্তল! রহস্যের আড়ালে আসল মুখটা কার! যুব নেতার গ্রেফতারির পর এই প্রশ্ন গুলির রহস্যভেদ করতে তদন্তে নেমেছে ইডি। সূত্রের খবর হেফাজতে পাওয়ার পর আজ সকাল ১০ টার পর থেকে এসব বিষয়ে জেরা শুরু করা হয়েছে যুব নেতাকে।

ইডি সূত্রে খবর, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগে মোট ১০ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আপার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগে তোলা হয়েছে ৩ কোটি ৩০ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। শুধু তাই নয়, প্রাথমিক টেট ২০১৪ চাকরি প্রার্থীদের থেকে নেওয়া ঘুষের অঙ্ক ৫ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা। কোটি কোটির টাকার খেলার পেছনে বড় মাথা কাদের। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে মরিয়া তদন্তকারী সংস্থা।

kuntal ghosh

প্রসঙ্গত, শনিবার নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কুন্তল ঘোষকে তাঁর চিনার পার্কের ফ্লাট থেকে গ্রেফতার করে ইডি। পূর্বে নিয়োগ মামলায় তাঁকে দুদফা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। যুব তৃণমূল নেতা কুন্তলের বিরুদ্ধে স্কুলে চাকরি দেওয়ার নামে সাড়ে ১৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ তুলেছিলেন আরেক অভিযুক্ত তাপস মণ্ডল। এরপরেই লাইমলাইটে আসে কুন্তল। হন গ্রেফতার। যদিও গ্রেফতারের পরই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন তিঁনি। তাঁর দাবি, ষড়যন্ত্রের শিকার তিঁনি।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর