বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় ফের চাঞ্চল্য। অভিযুক্ত প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী আনিসুর রহমান-সহ তিন জনের জামিন বাতিলের আবেদন নিয়ে ফের নড়েচড়ে বসেছে ইডি। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাই কোর্টে হবে শুনানি। এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে ফের চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
কয়েকশো কোটি টাকার দুর্নীতির (Ration Scam) অভিযোগের তীর জ্যোতিপ্রিয়র দিকে
২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর তৎকালীন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেপ্তার করে ইডি। সংস্থার দাবি, রেশন বণ্টনে কয়েকশো কোটি টাকার দুর্নীতিতে (Ration Scam) সরাসরি যুক্ত ছিলেন তিনি। দলের ভিতরে ও বাইরে যাঁকে অনেকেই ‘বালু’ নামে চিনতেন, সেই জ্যোতিপ্রিয়কে দীর্ঘ জেরা ও প্রমাণ সংগ্রহের পর গ্রেপ্তার করা হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে আদালতের নির্দেশে তিনি জামিন পান। পরে একই মামলায় জামিনে মুক্ত হন তাঁর ঘনিষ্ঠ আনিসুর রহমানও।
আদালতে জামিন বাতিলের আবেদন ইডির
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আদালতে জানিয়েছে, জামিনে মুক্ত থাকার পর অভিযুক্তরা তদন্তে প্রভাব ফেলতে পারেন। সাক্ষীদের প্রভাবিত করা বা গুরুত্বপূর্ণ নথি গোপন করার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছে না ইডি। তাদের বক্তব্য, দুর্নীতির (Ration Scam) পরিমাণ হাজার কোটি টাকার বেশি হতে পারে। তাই তদন্ত যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে কারণেই জামিন বাতিলের আবেদন জানানো হয়েছে।
হাই কোর্টের (Calcutta High Court) এই শুনানি মামলার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। কারণ, শাসকদলের প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ এখন রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও বড় অস্ত্র বিরোধীদের হাতে। ইতিমধ্যেই বিরোধীরা রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে কোণঠাসা করতে এই ইস্যু ব্যবহার করছে। ইডির পদক্ষেপে রাজনৈতিক অঙ্গন আরও সরগরম হতে চলেছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
আগামী ১২ সেপ্টেম্বর বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের এজলাসে হবে শুনানি। আদালতের (Calcutta High Court) অবস্থানই নির্ধারণ করবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও তাঁর সহযোগীদের ভবিষ্যৎ। তৃণমূল বিধায়কের আইনজীবীরা যদিও দাবি করেছেন, এখনও নথি হাতে পাননি তাঁরা। তবে বিষয়টি (Ration Scam) নজরে আসার পর আইনি প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এদিকে, অসুস্থতা কাটিয়ে ফের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়, যা রাজনীতির মঞ্চে নতুন জল্পনা তৈরি করেছে।