বাংলাহান্ট ডেস্ক : মঙ্গলবার সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স (CGO Complex) থেকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)-এর একাধিক দল অভিযানে বেরোয়। তার মধ্যে দু’টি দল চলে যায় শহরের উত্তর দিকে। অন্য দু’টি দলের গন্তব্য শহরের দক্ষিণ প্রান্তে।
ইডির প্রথম দলটি যায় বরানগরে একটি বন্ধ দোকানে। জানা যাচ্ছে, ওই দোকানটি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের। অর্পিতা গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই বন্ধ রয়েছে দোকান। তদন্তকারী আধিকারিকদের মতে ওই বন্ধ দোকান থেকে কিছু তথ্য হয়তো পাওয়া যেতে পারে। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের পাটুলির নেল আর্ট পার্লারে হানা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ইডি)। মঙ্গলবার দুপুরে পালকি রেস্টুরেন্টের উল্টো দিকে একটি নেল আর্ট পার্লারে যায় ইডি।কেদুয়া মেন রোডের ধারে একটি ফ্ল্যাটেও হানা দিয়েছে ইডি।
বরানগরে বন্ধ দোকানের পাশে আছে একটি ব্যাঙ্ক। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, অর্পিতা যখনই এই দোকানে আসতেন, তখনই তিনি পাশের ওই ব্যাঙ্কেও যেতেন। ইডির গোয়েন্দারা ব্যাঙ্কে ঢুকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, তাদের একটি দল গিয়েছে গড়িয়াহাট এলাকার পণ্ডিতিয়া রোডে। দ্বিতীয় দলটি মাদুরদহ এবং তৃতীয় দল বরানগরে অর্পিতার বন্ধ দোকানে যায়। চতুর্থ দলটি গিয়েছে পাটুলিতে। অর্পিতার নেইল আর্ট শপের তালা ভাঙার জন্য চাবিওয়ালাকে ডেকে পাঠায় ইডি।
দক্ষিণ কলকাতায় পণ্ডিতিয়া রোডের ফোর্ট ওয়েসিস আবাসনের ছ’নম্বর ব্লকের ৫০৩ নম্বর ফ্ল্যাটটিতেও তল্লাশি ইডির। খাতায় কলমে ওম ঝুনঝুনওয়ালা নামে এক ব্যক্তির নামে কেনা হয়েছে ওই ফ্ল্যাট। কিন্তু ইডির তদন্তকারীরা জানতে পারেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ওই ফ্ল্যাটটি অর্পিতাকে ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন। অর্পিতাই ব্যবহার করতেন ওই ফ্ল্যাট। এখন প্রশ্ন ওই ফ্ল্যাটের তল্লাশিতে কি মিলবে নগদ নাকি সোনাদানা?
ফোর্ট ওয়েসিস আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী জানান, বেশ কিছুদিন অর্পিতা এই ফ্ল্যাটে আসেন নি। ইডি আবাসনের ম্যানেজারকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাঁকেও এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।