বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতির রহস্যভেদ করতে শুক্রবার ফের অ্যাকশনে নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (Enforcement Directorate’s)। সাতসকালে তৃণমূল বিধায়ক, কাউন্সিরের পাশাপাশি রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর (Minister Sujit Boses) বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। বিশাল পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে দমকল মন্ত্রীর শ্রীভূমির দুটি বাড়িতেই জোর তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। টানা ১৪ ঘণ্টা পর রাত ৮.৩০-র কিছু পর সুজিত বসুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় ইডি।
২০০৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ দমদম পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছিলেন মন্ত্রী সুজিত বসু। সূত্রের খবর দুটি বাড়ি ও অফিসে তল্লাশির পাশাপাশি দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুকে জিজ্ঞাসাবাদও করে ইডি। ওদিকে সন্দেশখালির ঘটনার পর থেকে বাড়তি সতর্কতায় ইডি।
গতকালের অভিযানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মত। এলাকাজুড়ে টহলদারি দেয় জওয়ানরা। হেলমেট পরে ডিউটি করেন তারা। ইডি সূত্রে জানা যায়, পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত জেলবন্দি অয়ন শীলের সূত্র ধরেই শাসকদলের তিন নেতার দরজায় ইডি।
জানা গিয়েছে, গত বছর এই অয়ন শীলের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছিল ইডি। সেই ডায়েরিতেই কোড আকারে লেখা ছিল বেশ কিছু নাম, কোড নেম। পুরো নাম লিখে নয়, অয়নের ডায়েরিতে প্রভাবশালীদের নাম লেখা থাকত কোডে। সেই ডায়েরির সূত্র ধরেই এই তিন হেভিওয়েটের বাড়িতে ইডি গিয়েছিল কিনা তা অবশ্য জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: অয়ন শীলের ডায়েরিতে থাকা SB, MM, ‘তাপস দা’ এদের আসল পরিচয় কি? ED জেরায় যা জানা গেল…
একদিকে যখন তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের বাড়িতে ইডি অভিযান, সেই দিনই সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনার ২ জনকে গ্রেফতার করল ন্যাজাট থানার পুলিশ। রেশন দুর্নীতির তদন্তে গিয়ে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের অনুগামীদের হাতে আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিকরা। সেই ঘটনার ৮ দিনের মাথায় চার দিক থেকে চাপে পড়ে অবশেষে মেহেবুর মোল্লা ও সুকমল সরদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও ঘটনার ৯ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত তৃণমূল নেতা অভিযুক্ত শাহজাহান শেখের কোনও খোঁজ দিতে পারেনি পুলিশ।