বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কিছুদিন ধরে একাধিক দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যে বেশ সক্রিয় ইডি-সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতি, পুর নিয়োগ দুর্নীতি মানলায় একাধিক নেতা-মন্ত্রী, পুর আধিকারিকদের বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি চালিয়েছে দুই কেন্দ্রীয় তদক্তকারী সংস্থা। এরই মধ্যে বুধবার রেশন দুর্নীতির তদন্তে নিউ টাউনের একাধিক জায়গায় পৌঁছে যায় ইডি। আর আজ ডিয়ার লটারির (dear Lottery) ছাপাখানায় ইডি হানা (Enforcement Directorate’s)।
বৃহস্পতিবার সাত সকালে মধ্যমগ্রামের সুকান্তনগরে ডিয়ার লটারীর কারখানায় ইডির হানা। ডিয়ার লটারির উত্তর ২৪ পরগনার মাইকেল নগরের প্রিন্টিং অফিসে পৌঁছে যায় ইডি। বিপুল পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এদিন সকালে আটটা থেকে চলছে তল্লাশি। শেষে পাওয়া খবর অনুযায়ী এখনও জারি রয়েছে তল্লাশি।
বর্তমানে কারখানা বন্ধ করে চলছে তল্লাশি। প্রসঙ্গত, দুর্নীতি ইস্যুতে বারংবার লটারি প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। তদন্তে উঠে আসে একাধিকবার একাধিক সময়ে বিভিন্ন তৃণমূল নেতার অ্যাকাউন্টে লটারির টাকা ঢুকেছে। আবার কারও কারও অ্যাকাউন্টে বেশ কয়েকবার নির্দিষ্ট কোম্পানির লটারির টাকা ঢোকে। সব ক্ষেত্রেই প্রথম পুরস্কারের কোটি কোটি টাকা জমা পড়েছে ওই নেতাদের অ্যাকাউন্টে।
আরও পড়ুন : অভিষেকের বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি ED-র! আনা হয়েছে প্রিন্টার মেশিন, তোলপাড় রাজ্য
নেতা ও লটারির এই যোগসূত্র খুঁজে বের করতেই এবার হানা ইডির। প্রসঙ্গত এই লটারি ইস্যুতে একাধিকবার সরব হয়েছে বিরোধী শিবির। সম্প্রতি পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও লটারির প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলকে তোপ দাগেন।
কালো টাকা সাদা করতেই লটারি সংস্থার সঙ্গে বোঝা পড়া হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। অন্যদিকে গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও একাধিকবার লটারির প্রথম পুরস্কার জিতেছেন। তিন তিন বার লটারি জিতেছেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা। সেই সময় তদন্তে গোয়েন্দারা দাবি করেন এই লটারি জেতার ছলেই গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করা হয়েছিল।