নিজের পকেট ভরে বাকিটা যেত ‘পার্থ’র কাছে, চাকরি পিছু কত নিতেন কুন্তল? প্রকাশ্যে এল তথ্য

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) ইস্যুতে কঙ্কালসার দশা রাজ্যের। জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতা, বিধায়ক। শিক্ষক কেলেঙ্কারির অভিযোগে গত জানুয়ারি মাসে ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হন হুগলীর তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। গ্রেফতারির পর থেকেই একে একে পাহাড় প্রমান অভিযোগ উঠে আসছে তার বিরুদ্ধে।

চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিতেন, এমন অভিযোগ প্রথম থেকেই উঠেছে তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে। ঠিক কত টাকা নিতেন? এবার সামনে এল সেই তথ্য। ইডি সূত্রে দাবি, এজেন্টদের মাধ্যমে প্রায় ২০০ জন চাকরি প্রার্থীর কাছ টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল। নিজের পকেট ভরে যার ভাগ পৌঁছে যেত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) কাছে।

শুক্রবার কুন্তল ঘোষকে নগর দায়রা আদালতে পেশ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেখানেই প্রায় ১৬ কোটি টাকার হিসেব পেশ করে ইডি। সংশ্লিষ্ট সংস্থা সূত্রেই দাবি, কুন্তলের মোট ২০ জন এজেন্ট ছিলেন। ইতিমধ্যেই ১০ জন এজেন্টের বয়ান নেওয়া হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদে সেই ১০ এজেন্ট টাকা তুলে যুবনেতার হাতে পৌঁছে দেওয়ার কথাটিও স্বীকার করে নিয়েছেন।

শুধু তাই নয়, ইডির দাবি টাকার বিনিময়ে ওই ২০০ জন প্রার্থীর চাকরির সুযোগও করে দিয়েছিলেন অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ। তদন্তকারীদের হিসেব অনুযায়ী প্রার্থী পিছু ৮ লক্ষ টাকা করে নিয়েছিলেন কুন্তল। ২০০ জনের কাছ থেকে মোট ১৬ কোটি টাকা তোলা হয়েছিল। নিজের পকেট ভরে বাকি টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে যেত বলেও দাবি ইডির।

শুক্রবার গোয়েন্দা সংস্থা তরফে বেশ কিছু নথি তুলে দেওয়া হয় আদালতে। ইডির দাবি, প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক ও নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগের এই তিনটি ক্ষেত্রেই দুর্নীতি করেছে কুন্তল। পাশাপাশি বিএড, ডিএলএড কলেজের অনুমোদনের জন্যও টাকা নেওয়া হত বলে অভিযোগ। এদিন আদালতে যুবনেতার জামিনের আর্জি জানালেও তা খারিজ করেন বিচারপতি। পাশাপাশি আগামী ১৭ মার্চ পর্যন্ত কুন্তলকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এরপর তদন্তে আর কী কী তথ্য ইডির হাতে উঠে আসে সেটাই এবার দেখার বিষয়।