তিঁনিই ‘মধ্যমণি’! বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে সেলফি তুলতে হুড়োহুড়ি আইনজীবীদের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কিছুমাস ধরে বাংলায় দাঁড়িয়ে সর্বাধিক চর্চিত নামের মধ্যে একটি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক কড়া নির্দেশ দিয়ে চাকরিপ্রার্থী দোহাই সারা রাজ্যের মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। পুরুলিয়ার (Purulia) জোনাল জাজ হিসাবে সদ্য দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। পুরুলিয়া জেলা আদালতের আইনজীবীদের কাছে আগেই বিচারপতির সেখানে যাওয়ার খবর ছিল। সেইমতো তার অপেক্ষায় ছিলেন সকলে। শনিবার সকালে বিচারপতি আদালত চত্বরে পৌঁছতেই শুরু হয় হুড়োহুড়ি।

বিচারপতি যেন সেলিব্রিটি। চিত্রতারকাদের একবার দেখতে যেমন ফ্যানদের হিড়িক পড়ে ঠিক তেমনি বিচারপতির সঙ্গে ছবি তোলার জন্য রীতিমতো হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। সেখানে উপস্থিত আইনের পড়ুয়া থেকে আইনজীবী সকলেই একটি বার সেলফি নিতে চান বিচারপতির সঙ্গে। এই নিয়েই কার্যত ধাক্কাধাক্কি। তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল এসবের থেকে নিরাপদ দুরুত্ব বজায় রাখলেন তৃণমূল পন্থীরা। ছবি তো দূর বিচারপতির ধারের কাছেও আসতে দেখা গেল না তাদের।

প্রসঙ্গত, শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ পুরুলিয়া জেলা আদালতে পৌঁছন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, এদিন কোনো মামলা সম্পর্কিত কিছু নয়, জোনাল জাজ হিসাবে দায়িত্ব পাওয়ার পর তার অধীনে থাকা পুরুলিয়া জেলা আদালত ঘুরে দেখতে যান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। জেলা আদালতের নতুন ভবন ঘুরে দেখেন তিনি।

সেখানে ওয়াটার পিউরিফায়ারের উদ্বোধন করেন বিচারপতি। পিউরিফায়ারের উদ্বোধন করে পুরুলিয়া জেলা আদালতের নতুন ভবনে কাজ শুরু না হওয়া প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেন বিচারপতি। জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “কিছু জিনিসপত্র আসার কথা রয়েছে। তাই এখনও শুরু করা যাচ্ছে না।” পাশাপাশি খুব শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনার বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলেও এদিন পুরুলিয়ায় দাঁড়িয়ে আশ্বাস দেন বিচারপতি।

justice ganguly

তার পর বার অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে একটা ছোট্ট বৈঠক সারেন তিনি। গতকাল যে সাড়ে ৩ ঘণ্টা সময় পুরুলিয়া জেলা আদালতে বিচারপতি ছিলেন সময়ে বার বার বিচারপতির সঙ্গে ছবি তোলার হিড়িকের দৃশ্য উঠে এল। এরম ঘটনা দেখে এক আইনজীবী বলেন, ‘‘এক জন বিচারপতির সঙ্গে ছবি তোলার এমন উন্মাদনা অন্য কোথাও দেখেছি বলে মনে পড়ছে না।’’

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর