বাংলাহান্ট ডেস্ক : বৃহস্পতিবার আবারও আদালতে তোলা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। যথারীতি পার্থর শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে জামিনের জন্য আবেদন করেন তাঁর আইনজীবীরা। পাল্টা জামিনের বিরোধিতা করে ইডি-র (ED)। কেন্দ্রীয় সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, গ্রেফতার হওয়ার আগে পার্থবাবুর শরীর একদম ঠিক ছিল। এখনই এসব হচ্ছে। বোঝাই যাচ্ছে কেন! কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি এরপর এও জানায়, তদন্তে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আরও অনেক সম্পত্তির (Assets) হদিশ মিলেছে।
ইডি এদিন আদালতে জানায়, এমন ৬০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের (60 Bank Account) তথ্য মিলেছে যেখানে পার্থর নাম রয়েছে। এগুলি ছাড়াও ৩০টি শেল কোম্পানির খোঁজ পেয়েছে ইডি। জানা যাচ্ছে এগুলির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা হত। এরসঙ্গে ইডি আদালতে দাবি করেছে, উত্তর ২৪ পরগনার ডোবাগাছিতে পার্থর নামে একটি খামার বাড়িরও রয়েছে। এদিনের শুনানিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াত স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায় চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে তৈরি পিংলার স্কুলের কথাও উল্লেখ করেছে ইডি।
পার্থর আইনজীবীরা জানান, তাঁদের মক্কেলের শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। ক্রিয়েটিরিনের মাত্রা মারাত্মক বেড়ে গিয়েছে। তিনি হাঁটাচলা পর্যন্ত করতে পারছেন না। এমনকি জেলের ভিতর শৌচাগারেও হেঁটে যাওয়ার ক্ষমতা নেই তাঁর।
পাল্টা ইডি বলে, ভুবনেশ্বর এইমসের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পার্থবাবুর যা বয়স, আর তাঁর যা মেডিক্যাল হিস্ট্রি রয়েছে তাতে এগুলো খুবই স্বাভাবিক। গুরুতর এমন কিছুই নয়। তাই ইডি আদালতকে অনুরোধ জানায়, যাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জামিন না দেওয়া হয়।