বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের ইডি (ED) দাপিয়ে বেড়াল কলকাতার বুকে। বুধবার সাত সকালে ইডির হানার খবর। সিক্স ই কেয়াতলা রোডে অভিযান চালান তদন্তকারী গোয়েন্দাদের। বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ই-নাগেটস গেমিং অ্যাপ প্রতারণা কাণ্ডে (Gaming Apps Scam) এ দিন তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। সকাল পৌনে আটটা নাগাদ চারজন আধিকারিকের একটি দল পৌঁছন ওই ঠিকানায়। শুধু কেয়াতলা রোডই নয়, এরই সঙ্গে শহরের আরও একাধিক জায়গায় এখনও চলছে তল্লাশি।
ইডির বিশেষ সূত্রে খবর, ৬ই কেয়াতলা রোডের যে বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয় সেখানে বাস করেন অনিরুদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত। আজ, বুধবার তাঁর বাড়িতেই পৌঁছন চারজন গোয়েন্দা আধিকারিক। ই–নাগেটস গেমিং অ্যাপ প্রতারণা কাণ্ডে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।
জানা যাচ্ছে, ওই বাড়িতে বিভিন্ন নথিপত্র খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা। আমির খান ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা প্রচুর ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। সেই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমেই গেমিং অ্যাপের বিরাট অংকের কালো টাকা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করা হয়েছে।
গেমের নামে কোটি কোটি টাকার জালিয়াতির অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। গার্ডেনরিচের একটি বাড়ির খাটের তলা থেকে বান্ডিল বান্ডিল নোট বেরনোর পর অভিযোগ সামনে আসে। এই মামলার চার্জশিটও জনা পড়েছে। বহুদিন ধরে ‘ই নাগেটস’ নামে একটি গেমের নামে জালিয়াতি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর ব্যাঙ্কশাল কোর্টে সেই মামালার চার্জশিট জমা দেয় কলকাতা পুলিস। চার্জশিটে আমির খানের নাম মূল অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়। মোট ১৭৩৭ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে।
আমির খানের থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া টাকার অঙ্ক ৪৭ কোটি। ১১০০ পাতার ওই চার্জশিটে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, তিনটি গেমের নাম বদলে জালিয়াতি করা হত। আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে গার্ডেনরিচে তল্লাশি চালানোর সময় ওই টাকার সন্ধান পায় কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। মূল অভিযুক্ত আমির খানের বাড়িতে খাটের তলা থেকে নগদ মোট ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়।