বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের চর্চার শিরোনামে পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা (Jhalda Municipality)। বহু টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে ঝালদা পুরসভা দখল করেছিল কংগ্রেস। নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়কে পুরপ্রধান করা হয়। তবে সেই ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। সম্প্রতি সেখানের পাঁচ পুরপ্রতিনিধি নাম লেখান তৃণমূলে। পুরসভার পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়–সহ চার কংগ্রেস কাউন্সিলর যোগ দেন শাসকদলে।
এসব নিয়েই যখন বিতর্ক চলছে ঠিক সেই সময়ই ঝালদা পুরসভাকে নোটিশ ধরাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Municipality Recruitment Scam) এবার ঝালদা পুরসভাকে চিঠি পাঠাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
কী জানা যাচ্ছে? পুরসভা সূত্রে খবর, ২০১৪ সাল থেকে পুরসভায় মোট ৭ জন স্থায়ী কর্মী নিয়োগ হয়েছে। একজন অ্যাসেসমেন্ট ইন্সপেক্টর, একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি, একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, দু’জন সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, একজন অ্যাসেসমেন্ট ইনচার্জ ও একজন অফিস সুপারিনটেনডেন্ট। এই ৭ কর্মীর নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: আর চাকরি যাবে না এই সকল প্রাথমিক শিক্ষকদের, বড় পদক্ষেপের পথে রাজ্য সরকার
পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। গত বছর থেকে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তৎপর ইডি-সিবিআই। কেলেঙ্কারির অভিযোগে জেলবন্দি তৃণমূলের নেতা মন্ত্রী সহ বহু আধিকারিক। এই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়েই উঠে আসে পুরসভায় দুর্নীতির ইস্যু। এরপরেই ময়দানে নামে ইডি (ED)।
আরও পড়ুন: ‘এই’ সময়ের মধ্যেই করতে হবে ফলপ্রকাশ! গ্রুপ-ডি নিয়ে বড় আপডেট, মুখে হাসি চাকরিপ্রার্থীদের
রাজ্যের একাধিক পুরসভাকে ইতিমধ্যেই নোটিশ ধরিয়েছে ইডি। এবার সেই তালিকায় জুড়ল ঝালদা পুরসভার নাম। তৃণমূল ক্ষমতা দখলের পরই ইডির নোটিস আসায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ইডির চিঠি প্রসঙ্গে পুরসভার প্রধান করণিক গৌতম গোস্বামী বলেন, ‘এক্সিকিউটিভ অফিসারকে চিঠি পাঠিয়েছে। ৭ দিন সময় দেওয়া হয়েছে, আমরা সমস্ত নথি তৈরি করছি।’