বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্যের রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে সমস্যায় পড়েছে ইডি। তাদের মতে, রেশন ব্যবস্থায় অনিয়ম নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে অভিযোগ জমা পড়লেও, তার সঠিক ভাবে তদন্ত হয়নি এখনও।তবে তাদের কথায়, রেশন নিয়ে জমা পড়া এই সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে কয়েকশো কোটি টাকার দুর্নীতির খোঁজ পাওয়া গেছে। আর এই সমস্ত কিছুর মাথায় রয়েছেন স্বয়ং মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়।
সঠিকভাবে যদি তদন্ত হয় তাহলে আরো দুর্নীতির খোঁজ মিলবে। তাই এই ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশকেই বিশেষ পরামর্শ-সহ তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য একটি চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতির মামলায় ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও তার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে ইডি।
আরোও পড়ুন : রেস চলছে বন্দে ভারতের সঙ্গে লোকালের! কোলাঘাটে টপকে গেল একবার, দেখুন ড্রোন ভিডিয়ো
সম্প্রতি এদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়ে ইডি তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারি তহবিল থেকে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়ের আনুকূল্যে কোটি টাকা গিয়েছে বাকিবুরের ব্যাংকে। ইডির দাবি, বাকিবুর তাঁর সংস্থার ৫০ কর্মীর নামে ভুয়ো কৃষক হিসেবে অ্যাকাউন্ট খোলার পাশাপাশি সেই অ্যাকাউন্টগুলিতে ধান কেনার নামে ৪৫০.৩১ কোটি টাকার ফান্ড রিলিজ করা হয় ওয়েস্ট বেঙ্গল এসেনশিয়াল কমোডিটি সাপ্লাই কর্পোরেশন লিমিটেডের তরফে থেকে।
আরোও পড়ুন : ইন্ডিয়ান অয়েলে বিপুল নিয়োগ, ১৮২০ শূন্যপদে বাম্পার চাকরির সুযোগ! রইল আবেদনের পদ্ধতি
শুধু বাকিবুর নয় দুর্নীতির টাকা গিয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রীর ব্যাংক একাউন্টেও।ইতিমধ্যে মন্ত্রীর স্ত্রীর অনেক অ্যাকাউন্ট সিজ করে দেওয়া হয়েছে। সূত্রে খবর, এই সমস্ত কিছুর তদন্তের জন্যই সম্প্রতিই ওই চিঠি গিয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যর কাছে। যেহেতু ইডি কেবলমাত্র আর্থিক বিষয় সংক্রান্ত তছরুপেরই তদন্ত করতে পারে, তাই রাজ্য পুলিশের ডিজিকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তদন্ত করতে বলেছে ইডি।
চিঠিতে ইডি জানিয়েছে, রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে কলকাতা পুলিশ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা পুলিশের কাছে যে সমস্ত অভিযোগ জমা পড়েছে, তার বিস্তারিত তদন্ত হয়নি। ইডির মতে , ২০২০ সাল থেকে এই সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের হতে শুরু হলো সেই ভাবে তদন্ত হয়নি । যার সমস্ত তথ্য ইডির কাছে আছে । তাই তদন্তের ক্ষেত্রে যদি কোনও তথ্যপ্রমাণ বা সাহায্যের প্রয়োজন পড়ে, তবে তা দিয়ে রাজ্য পুলিশকে সাহায্যও করতে পারে ইডি