বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সেই ২০২২ থেকে রাজ্যে সক্রিয় ইডি-সিবিআই। একাধিক দুর্নীতি মামলার তদন্ত চলছে। কেলেঙ্কারির দায়ে একাধিক নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। তবে এবার পাঁশকুড়ার এক সাব পোস্ট মাস্টারের (Post Office Case) বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ওরফে ইডি (Enforcement Directorates)।
পাঁশকুড়ার ওই ডাককর্মী লক্ষ্মণ হেমব্রমকে নোটিস ধরিয়েছে ইডি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার বাসিন্দা লক্ষ্মণ ময়নার রামচন্দ্রপুর ডাক বিভাগের কর্মী। আগে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে একবার তাকে গ্রেফতার করেছিল ময়না থানায় পুলিশ।
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত লক্ষ্মণ হেমব্রমকে সম্প্রতি কলকাতায় ইডির অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। এরপরই তাকে নোটিস দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, ডাককর্মীর ৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইডি।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ওই ডাক কর্মী সহ তার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ের অ্যাকাউন্ট ফিক্সড ডিপোজিট ও বিমার অ্যাকাউন্টও সিজ় করা হয়েছে। ওই অ্যাকাউন্ট গুলি মিলিয়ে প্রায় ৭০-৮০ লাখ টাকার হদিস মিলেছে বলে সূত্রের খবর। ডাক বিভাগের কোটি কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে লক্ষ্মণের বিরুদ্ধে। অভিযোগের স্বপক্ষে বেশ কিছু প্রামাণ্য নথিও পেয়েছে ইডি।
আরও পড়ুন: ‘বৃহত্তর স্বার্থ জড়িত…’, প্রাথমিকের মামলা ছেড়ে দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, শোরগোল
ইতিমধ্যেই তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে বাজেয়াপ্ত করা হয়নি অভিযুক্ত লক্ষ্মণ হেমব্রমের বসতবাড়ি এবং স্ত্রীর বেতনের অ্যাকাউন্ট। ওই ব্যক্তির পাসপোর্টও জমা রেখেছে ইডি।