মধ্যবিত্তদের জন্য সুখবর! দাম কমাল কোম্পানি, ১০-১৫ শতাংশ সস্তা হচ্ছে ভোজ্য তেল

বাংলা হান্ট ডেস্ক: একনাগাড়ে বেড়ে চলা ভোজ্য তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে জর্জরিত সকলে। অত্যাবশ্যকীয় এই পণ্যের লাগামছাড়া দামের কারণে একপ্রকার আগুন জ্বলছে গৃহস্থের হেঁসেলে! এমতাবস্থায়, গ্রাহকদের জন্য সুখবর নিয়ে এল ভোজ্য তেল প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি! গত সোমবার “সলভেন্ট এক্সট্রাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া” (SEA)-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, দেশের শীর্ষস্থানীয় ভোজ্য তেল সংস্থাগুলি দামের নিরিখে গ্রাহকদের স্বস্তি দিতে চলেছে। সংস্থাগুলি ভোজ্যতেলের সর্বোচ্চ খুচরো মূল্য অর্থাৎ MRP প্রায় ১০-১৫ শতাংশ হারে কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সোমবার একটি বিবৃতি প্রকাশের মাধ্যমে SEA জানিয়েছে যে, “আমরা আনন্দের সাথে জানাচ্ছি, ভোজ্য তেল উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি তাদের বিক্রয় করা রান্নার তেলের দাম সক্রিয়ভাবে কমিয়েছে। যার ফলে সব ব্র্যান্ডের তেলের দাম প্রায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। উৎসবের মরসুমে জনসাধারণকে স্বস্তি দিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।” পাশাপাশি, আগামী বেশ কয়েক মাসে ভোজ্য তেলের দাম অনেকটাই কমবে বলে আশাবাদী SEA। আন্তর্জাতিক বাজারে অত্যধিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে ভোজ্যতেলের দাম হঠাৎই আকাশছোঁয়া হয়ে গিয়েছিল বলে মনে করছে সংস্থাটি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় খাদ্য সচিব সুধাংশু পান্ডে কয়েক দিন আগে ভোজ্য তেল শিল্পের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন। তাতে তিনি ভোজ্যতেল আমদানিতে শুল্ক হ্রাসের বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। গত ২০ ডিসেম্বর ভোজ্য তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার পরিশোধিত তেলের শুল্ক প্রায় ১৭.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২.৫ শতাংশে নিয়ে আসে।

IMG 20211228 140726

একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে ভোজ্য তেলের ব্যবহার হয় প্রায় ২২০-২২৫ মিলিয়ন টন। এর মধ্যে প্রায় ৬৫ ​​শতাংশ তেল আমদানি করা হয়। দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা ও অভ্যন্তরীণ সরবরাহের মধ্যে ব্যবধান মেটাতে প্রায় ১৩০-১৩৫ মিলিয়ন টন তেল আমদানি করতে হয়। যেখানে গত দুই বছরে করোনা মহামারির কারণে আমদানি প্রায় ১৩ মিলিয়ন টনে নেমে এসেছে। এদিকে, নতুন করে এই দাম কমার প্রসঙ্গে ইমামি, ফরচুন, সানরিচ, রুচি গোল্ডের মতো একাধিক জনপ্রিয় ভোজ্য তেল প্রস্তুতকারী সংস্থার তেলেরও দাম কমতে চলেছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর