বাংলাহান্ট ডেস্ক : ২০২১ সালের শেষের দিকে এবং ২০২২ সালের শুরুতে ভোজ্যতেলের দামে রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছিল। সেই সময় সরকার তেলের দাম বৃদ্ধির হাত থেকে জনগণকে রেহাই দিতে অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। এরপর তেলের দাম পড়ে যায়। এখন পরিশোধিত পাম অয়েলের আমদানি শুল্ক ২০ শতাংশে উন্নীত করার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করেছে ভোজ্যতেল শিল্প সংস্থা এসইএ। বর্তমানে সেই শুল্ক ১২.৫ শতাংশ।
সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে এই বিষয়ে একটি চিঠি লিখেছে। এসইএ যুক্তি দেয় যে অপরিশোধিত পাম তেল (সিপিও) এবং পরিশোধিত পাম তেলের (পামোলিন) মধ্যে শুল্কের পার্থক্য মাত্র ৭.৫ শতাংশ। এ কারণে পরিশোধিত পাম তেলের (পামোলিন) আমদানি বেশি।
এসইএ সভাপতি অজয় ঝুনঝুনওয়ালা এবং এশিয়ান পাম অয়েল অ্যালায়েন্সের (এপিওএ) সভাপতি অতুল চতুর্বেদীর স্বাক্ষরিত চিঠি অনুসারে, ভারতে আসা ইন্দোনেশিয়ান এবং মালয়েশিয়ার ভোজ্য তেলে ৭.৫ শতাংশের শুল্কের পার্থক্য ১৫ শতাংশ করা দরকার। তাদের মতে , পরিশোধিত পামোলিনের ক্ষেত্রে শুল্ক ১২.৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে উন্নীত করা যেতে পারে।
শিল্প সংস্থা বলছে, ১৫ শতাংশ শুল্ক পার্থক্য পরিশোধিত পামোলিন আমদানি কমাতে সাহায্য করবে এবং এর পরিবর্তে অপরিশোধিত পাম তেলের আমদানি বাড়বে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে যে, এটি দেশের মোট আমদানিতে প্রভাব ফেলবে না এবং ভোজ্যতেলের মূল্যস্ফীতিতেও কোনো প্রভাব ফেলবে না। অন্যদিকে, এটি আমাদের দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পরিস্থিতি তৈরী করতে সহায়তা করবে।
ভারত ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া থেকে প্রচুর পরিমাণে পাম তেল আমদানি করে। ফলে বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে মন্ত্রীকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার এবং দেশীয় পাম তেল প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।