ভাঙা হল আলমারির তালা, রান্নাঘরেও তল্লাশি! শাহজাহানের বাড়ি থেকে কী উদ্ধার করল ED?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালি ঘটনার ১৯ দিন পর ফের সাত সকালে ফের শাহজাহানের বাড়িতে (Sheikh Shajahan) হানা দিল ইডি। তবে এবার ফুল প্রিপারেশন। সাথে ১২৫ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তৃণমূল নেতার ডেরায় ইডির অভিযান। মূলত রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় শাহজাহানের বাড়ির তালা ভেঙে তল্লাশি চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)।

স্থানীয় সূত্রের খবর, এদিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ইডির টিম। তার কিছু সময় পর থেকেই শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। সন্দেশখালির ‘বাদশা’র একের পর এক ঘরে ঢুকে চলে তল্লাশি। সুটকেস, আলমারি, চিলেকোঠার তাকেও গেল হাত। আর কী উদ্ধার হল তাতে?

ইডি সূত্রে খবর, সকাল থেকে তল্লাশি চালিয়ে কিছু জামাকাপড় আর বাসনকোসন ছাড়া শাহজাহানের বাড়ি থেকে উল্লেখযোগ্য কিছুই হাতে আসেনি আধিকারিকদের। প্রসঙ্গত, এদিন বিশাল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের পাশাপাশি চাবি নিয়ে শাহজাহানের ডেরায় পৌঁছয় ইডি। চাবি ভাঙার লোক দিয়ে গেটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন ইডি আধিকারিকরা।

এদিন শাহজাহানের বাড়িতে যায় ইডির ছয় আধিকারিকের একটি টিম। তাদের মধ্যে দু’জন অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার অফিসারও রয়েছেন। শুধুমাত্র ছবি তোলার জন্য রাখা হয়েছে একজনকে। চিরুনি তল্লাশি চালানোর পরও বাসনকোসন আর জামাকাপড় ছাড়া কিচ্ছু মেলেনি।

১৯ দিন আগের আর পরের চিত্রে যেন আকাশ-পাতাল ফারাক। বুধবার শেখ শাহজাহানের বাড়িতে যখন ইডির অভিযানের দিন আশেপাশে সুনসান ছবি। শাহজাহান মার্কেটের একটি দোকানও আজ খোলেনি, সবকটি বন্ধ। আপাতত রাজ্য পুলিশ এবং সিআরপিএফ এর নিয়ন্ত্রণে সেই বাজার।

ed shahjahan

আরও পড়ুন: ১১ ফেব্রুয়ারি উড়ানে চেপে রামলালার দর্শনে যাচ্ছেন শুভেন্দু, অযোধ্যা যাত্রায় কাদের সাথে নিচ্ছেন তিনি?

একদিকে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। অন্যদিকে মজুত রয়েছে বিশাল পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান, রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি রয়েছে রাজ্য পুলিশের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত র‌্যাফও। সকলের হাতে লাঠি বা আধুনিক অস্ত্র। শাহজাহানের বাড়ি, বাজার থেকে শুরু করে গোটা এলাকাই পুলিশি নিয়ন্ত্রণে। আগেই আদালতের নির্দেশে শাহজাহানের বাড়ির পাশাপাশি সন্দেশখালির বাজারেও সিসি ক্যামেরা বসিয়েছিল রাজ্য পুলিশ।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর