বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সেই ২০২২ থেকে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে শোরগোল রাজ্যে। একাধিক মামলা চলছে আদালতে। আটকে রয়েছে বহু নিয়োগ। ঝুলে রয়েছে এসএলএসটির নিয়োগও (Slst Job)। চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠকে বসেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য (Education Minister Bratya Basu) বসু। তবে জট এখনও কাটেনি। কেন নিয়োগ হচ্ছে না? আগে রাজ্যের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী কথায় কথায় একাধিকবার বলেছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ের কারণেই নিয়োগ করা যাচ্ছে না। এবার ফের তার গলায় একই সুর।
শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, আদালতের নির্দেশের কারণেই নিয়োগ আটকে রয়েছে। তবে আদালত নির্দেশ দিলে সাতদিনের মধ্যে এসএলএসটিতে নিয়োগ হবে বলেও আশ্বাস দেন শিক্ষামন্ত্রী। এই বিষয়ে তিনি বলেন, “আদালত খুব তাড়াতাড়ি রায় দিয়ে দেবে বলে আমি মনে করি। প্রাইমারির জট খুলে গিয়েছে, আমরা প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করতে যাচ্ছি। এসএলএসটির জটও ভোটের পরই খুলে ফেলব।”
ব্রাত্যর কথায়,’আমরা আদালতের নির্দেশের অপেক্ষায় আছি। একবার আদালত নির্দেশ দিলেই যত শীঘ্র সম্ভব নিয়োগ করা হবে। আমরা ইতিমধ্যেই এসএসসির সঙ্গে দীর্ঘ মিটিং করেছি। আদালত নির্দেশ দিলে আমরা আমরা সাতদিনের মধ্যে নিয়োগ করতে পারব।”
আরও পড়ুন: ‘আমার টাকা নেই বলে দিদি টিকিট দিলেন না…’, মমতাকে নিয়ে বিস্ফোরক তৃণমূলের অপরূপা পোদ্দার
শিক্ষামন্ত্রীর সংযোজন, ‘অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় যখন বিচারপতি ছিলেন তখন উনি বলেছিলেন আন্দোলনকারীদের মধ্যে বেশির ভাগই দালাল। এরা কেউ চাকরি পাওয়ার যোগ্য নয়।’ প্রসঙ্গত, এর আগে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের মুখেও এই কথা শোনা গিয়েছে। তিনি বলেছিলেন, বিচারপতি থাকাকালীন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কোনো সমাধান সূত্র তো খোঁজেনই নি, উল্টে জটিলতা তৈরী করেছেন। উল্লেখ্য, পূর্বে কুণালও এই চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন।