বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ডিমের উৎপাদন বিগত কয়েক বছরে রাজ্যে রেকর্ড হারে বাড়লেও বাজারে দাম কমছে না। বরং বেড়েই চলেছে। কেন এমন হচ্ছে, সেই প্রশ্নের উত্তর জানতে এবার নড়েচড়ে বসেছে নবান্ন (Nabanna)। হাঁস-মুরগির খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়াকেই এর বড় কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
নবান্নে (Nabanna) টাস্ক ফোর্সের বৈঠক
বৃহস্পতিবার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নেতৃত্বে নবান্নে (Nabanna) বসে টাস্ক ফোর্সের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না, প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দপ্তর, কৃষি, কৃষি বিপণন-সহ একাধিক দপ্তরের সচিবরা। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। তবে এদিন ডিমের দাম কমানোই ছিল বৈঠকের প্রধান আলোচ্য বিষয়।
ভুট্টা কেন বড় সমস্যা?
দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে হাঁস-মুরগির খাবারের দাম বাড়ছে ভুট্টার সরবরাহ কমে যাওয়ার ফলে। ভুট্টা চাষ বাড়লেও তার বড় অংশই চলে যাচ্ছে ইথানল তৈরিতে। ফলে পোল্ট্রি খাদ্যের জন্য পর্যাপ্ত ভুট্টা পাওয়া যাচ্ছে না। তার সরাসরি প্রভাব পড়ছে ডিমের দামে।
তবে পাল্লা দিয়ে ভুট্টাচাষও বাড়ছে, পাশাপাশি খাবার তৈরিতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। এই তথ্যও উঠে আসে বৈঠকে। তাই সরকারের প্রশ্ন উৎপাদন ও স্বনির্ভরতার সাফল্য থাকা সত্ত্বেও হাঁস-মুরগির খাবারের দাম বাড়ছে কীভাবে?
বর্তমান বাজারদর
এখন ডিমের পাইকারি দাম ৭ টাকা ৫ পয়সা। খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮ টাকা করে। রাজ্যের পোল্ট্রি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মদন মাইতি জানান, ব্যাপক উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে খোলা বাজারে ৮ টাকার মধ্যে দাম আটকে রাখা সম্ভব হয়েছে। তবে কোথাও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে। উল্লেখ্য, ২০২৫ সালে ডিমের গড় দাম দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৭৪ পয়সা। গত বছর ছিল ৫ টাকা ৬৫ পয়সা। এই হিসেব ধরেই বাজারদর বিশ্লেষণ করছে টাস্ক ফোর্স।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, কেউ যেন বেশি দামে ডিম বিক্রি না করতে পারে, তার জন্য পুলিশ ও টাস্ক ফোর্স দু’পক্ষকেই নিয়মিত নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডিম-সহ নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৩৫টি সুফল বাংলা কেন্দ্র সন্ধ্যাবেলাতেও খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি কলকাতায়, ২১টি বিধাননগর, রাজারহাট ও উত্তর ২৪ পরগনায়।

আরও পড়ুনঃ চাপ বাড়তেই বদলে গেল SSC-র সুর, প্রকাশ করল ৩৫১২ দাগির খুঁটিনাটি তথ্য
বর্তমানে রাজ্যে রয়েছে মোট সাড়ে সাতশোটি সুফল বাংলা কেন্দ্র। এ মাসের শেষেই আরও ৫০টি সুফল বাংলা গাড়ি পরিষেবায় যুক্ত হবে বলে জানানো হয়েছে নবান্ন (Nabanna) তরফে।












