শুধু বিধায়কই না, শিবসেনার সাংসদরাও শিন্ডের দলে! বালাসাহেব ঠাকরের পদে এখন বকলমে একনাথই

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সংকটজনক পরিস্থিতিতে শিবসেনা ও মহারাষ্ট্রর জোট সরকার। উদ্ধব ঠাকরে মঙ্গলবার রাতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন বর্ষা ছেড়ে সপরিবারে উঠেছেন পৈত্রিক বাড়ি মাতোশ্রীতে। মুম্বইয়ের কলাকারনগরের ওই বাড়িতেই বাস করতেন শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরেও। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে বলাই যায় বিদ্রোহী একনাথ শিন্ডেই কার্যত মাতোশ্রী-র বর্তমান মালিক হয়ে উঠেছেন। বালাসাহেব ঠাকরের আমলে কালাকারনগরের বাড়িই ছিল শিবসেনার সদর দফতর। এমনকি বালাসাহেব মারা যাওয়ার পর।মাতোশ্রীকে দলীয় দফতর ঘোষণা করারও দাবি উঠেছিল।

এর মধ্যে শিন্ডে গতকালই গুয়াহাটির হোটেলে বিদ্রোহী বিধায়কদের সামনে ভাষণ দেন। শিবসেনার ৪২ জন বিধায়ক তো সাত নির্দল বিধায়কও সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলেন জানা যাচ্ছে। শিবসেনার প্রায় অর্ধেক সাংসদও আছেন তাঁর সঙ্গেই। তাই বলাই যায় শিবসেনার প্রধান এখন তিনিই। এদিকে বিদ্রোহের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমেও। শিবসেনার দুই শিবিরের মধ্যেই চলছে বাদানুবাদ। সেখানেও পিছু হঠছেন উদ্ধব অনুগামীরা।

বালাসাহেব ঠাকরের ইচ্ছাতেই উদ্ধব শিবসেনার প্রধান পদ পান। আর সেই কারণেই শিবসেনা ত্যাগ করে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা নামে নতুন দল গড়েন বালাসাহেবের ভাইপো রাজ ঠাকরে। একনাথের বিদ্রোহ চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে, শিবসেনার একটা বড় অংশের সমর্থনই নেই উদ্ধবের সঙ্গে। এর মধ্যে হয়েছে আর এক কাণ্ড।

সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদ ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন রবীন্দ্র ফটক। তাঁকে দূত হিসাবে বিদ্রোহী একনাথ শিন্ডে এবং তাঁর দলের সঙ্গে আলোচনার জন্য পাঠান উদ্ধব। পরে দেখা যায় সেই দূতও একনাথের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার গুয়াহাটির হোটেলের গ্রুপ ছবিতেও দেখা গিয়েছে রবীন্দ্র ফটককে। সব মিলিয়ে খুবই কঠিন সময় উদ্ধব ঠাকরের জন্য। বলা ভালো শিবসেনার ভবিষ্যতের রাশ এখন একনাথ শিন্ডের হাতেই। তিনি কী সিদ্ধান্ত নেন তার উপরই নির্ভর করছে শিবসেনার ভবিষ্যৎ।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর