বিহারের পর দিল্লিতেও কি এবার SIR? জল্পনায় তুঙ্গে রাজধানী, ‘চুপ’ কমিশন

Published on:

Published on:

Election Commission and SIR buzz in Delhi

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দেশজুড়ে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন অর্থাৎ Special Intensive Revision প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্কের মাঝেই নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে রাজধানী দিল্লিকে ঘিরে। এখনও সরকারি ঘোষণা না হলেও, নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) নির্দেশে প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাওয়ায় রাজনৈতিক মহলে জল্পনা বাড়ছে।

সূত্রের খবর, দিল্লিতেও ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বুথ লেভেল অফিসারদের (BLO) প্রশিক্ষণ, পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা যৌক্তিকভাবে পুনর্নির্ধারণ করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা সম্প্রতি জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে যখনই নির্দেশ আসুক, তাঁরা প্রস্তুত থাকতে চান।” সেই কারণেই প্রাথমিক কাগজপত্রের কাজ এবং শূন্যপদ পূরণের মতো বিষয়গুলি দ্রুত সম্পন্ন করা হচ্ছে।

চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই সারা দেশ জুড়ে চালু হবে SIR

শোনা যাচ্ছে, চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই সারা দেশজুড়ে এই বিশেষ রিভিশন প্রক্রিয়া চালু হতে পারে। যদিও কমিশন (Election Commission) এখনও কোনও নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করেনি। এর মধ্যেই গত জুলাই মাসে দিল্লির মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের ওয়েবসাইটে ২০০৮ সালের SIR সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশিত হওয়ায় আলোচনা আরও তীব্র হয়েছে। বিশেষত বিহার ভোটের আগে এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক বিতর্ককে আরও উসকে দিয়েছে।

কমিশনের (Election Commission) গৃহীত পদ্ধতিতে অসঙ্গতি পাওয়া গেলে বাতিল হবে বিহারের SIR

বিহারকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই বিষয়টি পৌঁছেছে সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার বিচারপতি সুর্যকান্ত ও জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, “যদি নির্বাচনী কমিশনের গৃহীত পদ্ধতিতে কোনও রকম অসঙ্গতি পাওয়া যায়, তবে পুরো প্রক্রিয়াটিই বাতিল করে দেওয়া হবে।” আদালত আরও জানিয়েছে, এই রায়ের প্রভাব শুধু বিহারে নয়, সারা দেশের ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়ায় পড়তে পারে। আগামী ৭ অক্টোবর এই নিয়ে চূড়ান্ত শুনানি হওয়ার কথা।

Election Commission and SIR buzz in Delhi

আরও পড়ুনঃ শিক্ষক বদলির মামলায় নজিরবিহীন রায়, সচিবের সিদ্ধান্ত বাতিল করল আদালত

সব মিলিয়ে দিল্লি-সহ সারা দেশে বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়া (SIR) শুরু নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। কমিশন (Election Commission) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না দেওয়া পর্যন্ত রাজনৈতিক মহল অপেক্ষা করলেও, প্রস্তুতির খবর প্রকাশ্যে আসায় জল্পনা আরও গভীর হয়েছে। এখন নজর থাকছে ৭ অক্টোবরের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দিকে, যেখানে নির্ধারিত হবে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।