বাংলাহান্ট ডেস্ক: ডিজিটাল ভারতে প্রায় রোজই নিত্য নতুন কিছু না কিছু প্রযুক্তির আবিষ্কার হয়ে চলেছে। ফলে মানুষ আরও সহজেই সমস্ত সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। সরকারের তরফেও মানুষের কাছে আরও সহজে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য তৎপরতা দেখানো হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের তরফেও এ বার এমন একটি প্রযুক্তি আনার কথা ভাবা হয়েছে।
এ বার নির্বাচনের সময়ে ভোট দিতে নিজের রাজ্যে আসতে হবে না ভোটারদের। তাঁরা যেখানে আছেন, সেখান থেকেই নিজের রাজ্যের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা যাবে। এমনই এক রিমোট ভোটিং (Remote Voting) প্রক্রিয়া আনার কথা চিন্তা করছে নির্বাচন কমিশন। রিমোট ইলেকট্রনিক মেশিনের মাধ্যমেই এই রিমোট ভোটিং প্রক্রিয়া চালুর ভাবনা রয়েছে কমিশনের।
এই মর্মে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী ১৬ জানুয়ারি এ বিষয়ে ডেমোনস্ট্রেশন দেওয়া হবে। বিভিন্ন কারণে অনেক মানুষ নিজের কেন্দ্রের বাইরে থাকেন। নির্বাচনের সময়েও সব সময় তাঁদের পক্ষে নিজের কেন্দ্রে ফেরা সম্ভব হয় না। তাঁদের জন্যই এমন ঘরে বসে ভোট দেওয়ার প্রযুক্তির কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন।
আগামী ১৬ জানুয়ারি বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ওই নতুন মেশিনের ডেমোনস্ট্রেশন নিয়ে তাদের আপত্তি থাকলে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তা কমিশনকে জানাতে পারবে। তবে কমিশন মনে করছে, এই ব্যবস্থা চালু হলে আখেরে লাভ হবে পরিযয়ী মানুষদের। নিজের কেন্দ্রে না ফিরেও নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন তাঁরা।
হঠাৎ কেন এমন ব্যবস্থা আনার কথা ভাবা হল? ২০১৯ সালের একটি পরিসংখ্যান অনুসারে, প্রায় ৬৭.৪ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন। বাকি প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে পারেননি। তাই এই মাল্টি কনস্টিটিউয়েন্সি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন তৈরি করা হয়। যদিও রিমোট ভোটিং-এর ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জের কথাও মাথায় রাখছে কমিশন।
সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ চ্যালেঞ্জ। এছাড়াও প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যার কথাও মাথায় রাখা হচ্ছে। বর্তমানে কোনও ভোটারকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হলে নিজের কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়ে যেতে হয়। অন্য কোনও কেন্দ্র অথবা বাইরের কোনও রাজ্য থেকে তিনি ভোট দিতে পারেন না। নতুন এই প্রযুক্তি চালু হলে সেই আইনে বদল আনতে হবে। এমনটাই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।