লক্ষ্মীপুজোর পরেই শুরু হবে SIR? ভোটার তালিকা যাচাইয়ের ডেডলাইন জানিয়ে নতুন ঘোষণা করল কমিশন

Published on:

Published on:

Election Commission orders voter list verification from 2002 to 2025

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আসন্ন নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকা আরও স্বচ্ছ করতে বড় পদক্ষেপ নিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। ২০০২ সালের ভোটার তালিকা এবং ২০২৫ সালের ভোটার তালিকা মিলিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই কাজ শেষ করার কথা বলা হয়েছে।

২০০২ ও ২০২৫ সালের তালিকা মিলিয়ে দেখার নির্দেশ দিল কমিশন (Election Commission)

১০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকদের সম্মেলনে কমিশনের (Election Commission) তরফে জানানো হয়, প্রতিটি বুথ লেভেল অফিসারের হাতে তুলে দিতে হবে ২০০২ সালের ও ২০২৫ সালের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। প্রতিটি নাম মিলিয়ে দেখতে হবে, এবং সেই ভোটারের পূর্বতন অবস্থান, অর্থাৎ বিধানসভা নম্বর, পার্ট নম্বর ও সিরিয়াল নম্বর ইত্যাদি হাতে লিখে রাখতে হবে। যদি ভোটারের বাবা-মায়ের নাম পুরনো তালিকায় থাকে কিন্তু ভোটারের নিজের নাম না থাকে, সেক্ষেত্রে তাঁদের নাম ও বিবরণও আলাদা করে নথিভুক্ত করতে হবে।

কমিশন (Election Commission) জানিয়েছে, বুথ লেভেল অফিসাররা একত্রে বসে এই কাজ করবেন এবং তাঁদের কাজ পর্যবেক্ষণ করবেন BLO সুপারভাইজার, AERO ও ERO। প্রতিদিন নির্দিষ্ট ফরম্যাটে রিপোর্ট জমা দিতে হবে এবং ১২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রতিটি বিধানসভা ভিত্তিক রিপোর্ট সিইও-র পোর্টালে আপলোড করতে হবে। কমিশনের সিনিয়র ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর সরেজমিনে কিছু জেলা পরিদর্শন করতে পারেন।

এই গুরুত্বপূর্ণ কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করাতে BLO-দের বিশেষ প্রশিক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিশন (Election Commission) শিগগিরই বিস্তারিত নির্দেশিকা পাঠাবে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক দিব্যেন্দু দাস জেলা আধিকারিকদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, এই কাজ দ্রুত ও নির্ভুলভাবে শেষ করতে হবে।

Election Commission orders voter list verification from 2002 to 2025

আরও পড়ুনঃ আয়করদাতাদের রেশন বন্ধ! সারা দেশে ১ কোটি ১৭ লক্ষ কার্ড বাতিলের পথে কেন্দ্র

ভোটার তালিকা মেলানোর এই উদ্যোগে পুরনো ও নতুন তথ্য একত্রে যাচাই হবে। কমিশনের (Election Commission) আশা, এর ফলে তালিকার ভুয়ো বা দ্বৈত নাম বাদ দিয়ে প্রকৃত ভোটারদের তালিকাভুক্ত করা সম্ভব হবে। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।