বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তিন জেলাশাসকের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ পেতেই সক্রিয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের কাজে নজরদারি শুরু করেছে কমিশন। ফর্ম ডিজিটাইজেশন নিয়ে বিএলও-দের সমস্যাও নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছ।
শুভেন্দুর অভিযোগে নড়েচড়ে বসল কমিশন (Election Commission)
শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের মেমারির পাল্লা ক্যাম্পে ‘পরিবর্তন সংকল্প সভা’-তে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি সরাসরি পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রানির নাম করেন। শুভেন্দুর দাবি, “ওঁরা বেআইনি কাজ করছেন।” তিনি আরও জানান, হুগলি ও পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসকদের বিরুদ্ধেও আগেই নির্বাচন কমিশনে (Election Commission) নালিশ জানিয়েছেন।
শুভেন্দুর অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট জেলা শাসকেরা নাকি সরাসরি বিএলও-দের থেকে ওটিপি নিয়ে থাকেন, যা কোনওভাবেই করার নিয়ম নয়। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু প্রশ্ন তোলেন, “ওঁরা কীভাবে বিএলও-দের ওটিপি নিতে পারেন? এটা আইনবিরুদ্ধ।” বিরোধী দলনেতা আরও প্রশ্ন তোলেন বিধায়ক খোকন দাসের পাঁচ টাকার খাবার প্রকল্প নিয়ে। তাঁর অভিযোগ, “আয়ের উৎস না জেনে কোনও প্রকল্প উদ্বোধনে জেলাশাসক কীভাবে যান?”
এই অভিযোগের পর তৎপর হয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (CEC) জ্ঞানেশ ভারতী জানান, অধিকাংশ বিএলও ভাল কাজ করছেন। তবে প্রায় এক শতাংশের উদ্দেশ্যে তিনি সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, “রাজনৈতিক চাপে পড়ে যাতে শাস্তির মুখে না পড়তে হয়, সেদিকে ওঁদেরই খেয়াল রাখতে হবে।”
এদিকে, ফর্ম ডিজিটাইজেশন নিয়ে রাজ্যের বহু জায়গায় বিএলও-দের বিক্ষোভ ধরা পড়েছে। অভিযোগ, একটি ফর্ম ডিজিটাইজ করতেই অনেক সময় লেগে যাচ্ছে। এত কম সময়ে বিপুল সংখ্যক ফর্ম কীভাবে আপলোড করবেন, তা নিয়ে চিন্তায় মাঠকর্মীরা। কমিশনের (Election Commission) নির্দেশ অনুযায়ী ‘ডেটা এন্ট্রি অপারেটর’ এবং বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের কর্মীদের সাহায্য করার কথা থাকলেও সেই কাজেও গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহলে।

আরও পড়ুনঃ কাজের চাপেই কি মৃত্যু? নদিয়ায় BLO-র আত্মহত্যার ঘটনায় জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট চাইলেন CEO
শুভেন্দুর দাবি, “বিএলও-দের এই বিপদের জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিশনের (Election Commission) প্রস্তাব মানেননি বলেই এই সমস্যা।” বর্তমানে SIR প্রক্রিয়া এবং জেলাশাসকদের ভূমিকা নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়ছে।












