বাংলা হান্ট ডেস্ক : আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি তার পরেই পশ্চিমবঙ্গের তিন বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে, করিমপুর কালিয়াগঞ্জ এবং খড়্গপুর সদরে উপনির্বাচন হবে। তাই একদিকে উপনির্বাচনে আসনের লড়াই যেমন শুরু হয়েছে ঠিক তেমনই রাজ্যে নিরাপত্তা নিয়ে যথেষ্টই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে রাজ্য প্রশাসনের তরফে তাই 25 নভেম্বর তারিখে রাজ্যের তিন জেলার উপনির্বাচনে লোকসভা নির্বাচনের মতোই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবে।
লোকসভা নির্বাচনের মতো বিধানসভা উপ নির্বাচনে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য এর আগে কয়েকটি নির্বাচনে রাজ্যে যেভাবে সন্ত্রাস তৈরি হয়েছিল তার পরেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিরাপত্তা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল কমিশনের তরফে।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সুষ্ঠুভাবে উপনির্বাচন সম্পন্ন করতে রাজ্য পুলিশের থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপরই আস্থা রাখার প্রয়োজন অনুভব করছে কমিশন, তাই তো লোকসভা নির্বাচনের মতোই উপনির্বাচনের আগে এলাকায় রুট মার্চ করবে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী। একই সঙ্গে নির্বাচনের আগে দশ কোম্পানি আধা সেনা পাঠাবে নির্বাচন কমিশন।
আসলে লোকসভা নির্বাচনে বেশ কয়েকটি স্পর্শকাতর কেন্দ্রে বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে হয়েছিল আর সে ক্ষেত্রে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তার জন্য লোকসভা নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার উপ নির্বাচনে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে একেবারে কোমর বেঁধে মাঠে নামছে নির্বাচন কমিশন।
যদিও এই প্রথমবার নয় এর আগেও রাজ্যে পুলিশের তত্পরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল নির্বাচন কমিশন তাই সরাসরি এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা ও হানাহানির প্রভাব যাতে উপনির্বাচনে কোনও ভাবেই না পড়ে তার জন্য আগে থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাটো করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন।