বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিহার এসআইআর মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘিরে ফের চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্যে। সর্বোচ্চ আদালত আধার কার্ডকে ভোটার তালিকার জন্য ১২ তম নথি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission)। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত ঘিরেই নবান্ন ও দিল্লির মধ্যে টানাপড়েন তৈরি হয়েছে।
মুখ্যসচিবের আবেদন খারিজ করল কমিশন (Election Commission)
সূত্রের খবর, রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ পশ্চিমবঙ্গের সিইও-কে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় আর্জি জানিয়েছিলেন, স্বাস্থ্যসাথী ও রেশন কার্ডকেও যেন পরিচয়পত্র হিসেবে গ্রহণ করা হয়। তবে নির্বাচন কমিশন (Election Commission) স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে কেবলমাত্র ১২টি নথিই গ্রহণযোগ্য। সেই তালিকার বাইরে অন্য কোনও নথি গ্রহণ করা হবে না। ফলে কার্যত রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দিল কমিশন।
আদালত জানিয়েছে, আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। তবে ‘রিপ্রেজেন্টেশন অফ পিপলস অ্যাক্ট’-এর ধারা ২৩(৪) অনুযায়ী, এটি পরিচয় প্রমাণের একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি। সেই কারণেই এসআইআর-এর ক্ষেত্রে আধার গ্রহণযোগ্য করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আধার জমা দিলে তার সত্যতা যাচাই করার অধিকারও থাকবে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) কাছে।
জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission) সমস্ত রাজ্যকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এসআইআর-এর প্রস্তুতি শেষ করতে হবে। অক্টোবরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দেশজুড়ে একযোগে শুরু হবে কি না, নাকি যেখানে আগামী বছরে বিধানসভা ভোট, সেখানে আগে প্রক্রিয়া চালু হবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। আপাতত পাঁচ রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গও রয়েছে সম্ভাব্য তালিকায়।
আরও পড়ুনঃ লোকসভায় ধাক্কা, বিধানসভায় ঘুরে দাঁড়াতে দক্ষিণ দিনাজপুরে দাওয়াই তৃণমূলের
আগামী বছরে ভোট সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর চালু হলে রাজনৈতিক সংঘাত বাড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছেন, আধারকে পরিচয়পত্র হিসেবে ব্যবহারের বিরোধিতা করবেন তিনি। ফলে কমিশনের (Election Commission) এই নির্দেশ রাজ্যের রাজনীতিকে যে আরও তপ্ত করবে, তা বলাই যায়।