SIR-এর আগেই শুরু সংঘাত! রাজ্যের পাঠানো ৯ নামেই আপত্তি কমিশনের, ক্ষুব্ধ মমতা

Published on:

Published on:

Election Commission Rejects West Bengal Govt’s Officer Nominees

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে এখনও বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা অর্থাৎ SIR শুরু হয়নি। তার আগেই রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) মধ্যে মতবিরোধ স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) একদিকে প্রকাশ্যে কমিশনের সমালোচনা করছেন, অন্যদিকে কমিশন রাজ্য সরকারের পাঠানো আধিকারিকদের নাম খারিজ করে দিয়ে অবস্থান আরও কঠোর করছে। ফলে প্রশাসনিক টানাপোড়েনের আঁচ পড়ছে রাজনৈতিক মহলেও।

পছন্দ নয় কমিশনের(Election Commission), ফেরত পাঠানো হল নামের তালিকা

নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) সিইও দফতরের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদ, অ্যাডিশনাল সিইও, জয়েন্ট সিইও ও ডেপুটি সিইও, এই পদগুলির জন্য রাজ্য সরকার মোট ৯ জন আধিকারিকের নাম প্রস্তাব করেছিল। এই তালিকায় ছিলেন বিভিন্ন দফতরের যুগ্ম সচিব, পুরসভার কর্তা, এমনকি পঞ্চায়েত ও স্বাস্থ্য দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও।

কিন্তু কমিশনের (Election Commission) সেই তালিকা খারিজ করে সাফ জানিয়েছে যে, এই নামগুলি কমিশনের পছন্দ নয়। নতুন করে তাই নামের তালিকা পাঠাতে হবে। পাশাপাশি, শূন্যপদ বেশিদিন ফাঁকা রাখা যাবে না বলেও কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে।

কমিশনের হুমকিতে রাজ্য চলবে না, ষ্পষ্ট বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee)

এই ঘটনার আগেই কমিশন (Election Commission) রাজ্যের দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে FIR সুপারিশ করে। সেই প্রসঙ্গেই বুধবার ঝাড়গ্রামের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি জানিয়ে দেন, কোনও অফিসারকে সাসপেন্ড করা হবে না। কমিশনের হুমকির ভিত্তিতে রাজ্য প্রশাসন চলবে না বলেও কড়া সুরে বার্তা দেন তিনি। এছাড়া SIR প্রক্রিয়া শুরু না হতেই কমিশনের এত সক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Election Commission Rejects West Bengal Govt’s Officer Nominees

আরও পড়ুনঃ Z ক্যাটাগরি নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও হামলা! মুখ্যসচিব-ডিজিপি-CP-র কাছে কৈফিয়ত চেয়ে চিঠি শুভেন্দুর

নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন (Election Commission) ও রাজ্য সরকারের এই ঠান্ডা যুদ্ধ রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত দিচ্ছে। কমিশনের তরফে আধিকারিকদের তালিকা খারিজ ও FIR সুপারিশ, আর তার পাল্টা রাজ্যের প্রতিরোধ, এই টানাপোড়েন কতটা বাড়বে, সেটাই এখন দেখার।