৯ তারিখ খসড়া তালিকা প্রকাশ, কাদের নাম বাদ? কারা ডাক পাবেন হিয়ারিংয়ে? জানুন সবকিছু

Published on:

Published on:

Election Commission to Release Deleted Voter List
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোটারদের বাড়ি গিয়ে ফর্ম ফিলআপের কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। এর মধ্যেই অভিযোগ উঠেছে কিছু মৃত ভোটারের নামেও নাকি ফর্ম ফিলআপ হয়েছে। সেই তথ্য ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) কাছে পৌঁছে গেছে। সব ঝাড়াই বাছাই করে খসড়া তালিকা প্রকাশের আগে কারা থাকবেন আর কারা বাদ পড়বেন, এবার তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কমিশন।

কাদের নাম বাদ যাবে?

বিএলও-রা বাড়ি বাড়ি গিয়ে যখন ফর্ম নিলেন, তখন অনেক জায়গায় দেখা গিয়েছে ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম ছিল, তাঁরা এখন আর জীবিত নেই। এমন নামগুলো ডিলিট করে কমিশন (Election Commission) আলাদা তালিকা বের করবে। এছাড়া যাঁরা ২০২৫ সালের তালিকায় আছেন, কিন্তু বাড়ি গিয়ে খুঁজে পাওয়া যায়নি, তাঁদের নামও বাদ যাবে। যাঁদের নাম দু’জায়গায় রয়েছে (ডবল এন্ট্রি), তাঁদের নাম অবশ্যই বাতিল হবে। দু’বার ফর্ম ফিলআপ করা আইনত অপরাধ, কমিশন (Election Commission) আগেই এটা জানিয়েছে।

৯ ডিসেম্বর খসড়া তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন (Election Commission)

যাঁরা ফর্ম জমা দিয়েছেন, তাঁদের সবাইকে খসড়া তালিকায় রাখা হবে। ৯ ডিসেম্বর বুথে, এসডিও-বিডিও অফিসে এবং কমিশনের (Election Commission) ওয়েবসাইটে তালিকা দেওয়া হবে। প্রত্যেক বুথের বাইরে ভোটারের সংখ্যা লাগানো থাকবে। সাধারণভাবে এক একটি বুথে ১২০০-র বেশি ভোটার থাকা উচিত নয় বলে জানানো হয়েছে।

কারা হিয়ারিংয়ে ডাক পাবেন?

৯ ডিসেম্বরের পর শুরু হবে যাচাই-বাছাই। ম্যাপিং চলবে, আর কোথাও তথ্য না মিললে হিয়ারিং নোটিস পাঠানো হবে। নোটিস বাড়ি পৌঁছে দেবেন BLO। যাঁদের নাম ২০০২ সালের তালিকায় নেই, তাঁদের দেওয়া তথ্য নিয়ে সন্দেহ থাকলে ERO তাঁদের ডেকে পাঠাতে পারে। তখন আধার ছাড়া বাকি ১১টি নথির মধ্যে যেকোনও ১টি দেখালেই হবে। যাঁদের পরিবারের কারও নামই ২০০২ সালের তালিকায় নেই, তাঁদেরও ডাকা হবে। বৈধ নথি দেখাতে পারলেই ফাইনাল তালিকায় নাম উঠবে।

Election Commission to Release Deleted Voter List

আরও পড়ুনঃ ‘আর কত জনকে মরতে হবে?’ নদিয়ায় BLO-র আত্মহত্যা ক্ষোভে ফুঁসে উঠলেন মমতা

শুক্রবার জেলার প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) বৈঠকে জানানো হয়েছে ২৫ নভেম্বরের মধ্যেই অ্যাপে ফর্ম আপলোডের কাজ শেষ করতে হবে। আর ৪ ডিসেম্বর ডিজিটাইজেশনের শেষ তারিখ। CEC জ্ঞানেশ ভারতী বলেছেন, “বিএলও-দের চাপ থাকলেও সময়মতো কাজ শেষ না হলে পরের ধাপে সমস্যা হবে।”