বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোটার তালিকা থেকে ইভিএম, ভিভিপ্যাট থেকে ভোটের হার, নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্র নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। বিগত এক-দেড় বছরে বিরোধীদের তোপে কার্যত বিশ্বাসযোগ্যতার সঙ্কটে পড়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। আর সেই চাপের মুখেই এবার স্বচ্ছতা ফেরাতে বড় পদক্ষেপ শুরু করেছে কমিশন।
ভোট প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে ২৮ টি পদক্ষেপ নিল কমিশন (Election Commission)
নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) তরফে জানানো হয়েছে, গত ৬ মাস ধরে দেশজুড়ে রাজনৈতিক দল ও অংশীদারদের নিয়ে ভোট প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা আনতে ধারাবাহিক আলোচনা চলছে। এই প্রক্রিয়ায় ভোটার তালিকার শুদ্ধিকরণ, ভোটপ্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিটি স্তরে স্বচ্ছ্বতা নিশ্চিত করার চেষ্টা হচ্ছে। কমিশন জানিয়েছে, এই লক্ষ্যে মোট ২৮টি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্তরে মোট ৪ হাজার ৭১৯টি বৈঠক হয়েছে। শুধু মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকেরাই করেছেন ৪০টি বৈঠক।
কি কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কমিশনের (Election Commission) পক্ষ থেকে?
কমিশনের ২৮টি পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে অস্বীকৃত ও নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল, বিএলওদের সচিত্র পরিচয়পত্র প্রদান, ইভিএম মাইক্রোকন্ট্রোলারের নিয়মিত পরীক্ষা, আন্তর্জাতিক নির্বাচন কমিশনগুলির সঙ্গে মতবিনিময়, ভোট সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে বিশেষ অ্যাপ চালু, শতভাগ ওয়েবকাস্টিং এবং প্রতি মুহূর্তে ভোটের হারের আপডেট দেওয়া। এর অনেকগুলি পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই কার্যকর করা হয়েছে, আরও কয়েকটি এখনও আলোচনাধীন।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে ভোটার তালিকা তুলে ধরে কমিশনের (Election Commission) বিরুদ্ধে ভুয়ো ভোটার সংক্রান্ত একগুচ্ছ অভিযোগ আনেন রাহুল গান্ধী। লোকসভার বিরোধী দলনেতার দাবি, “মোট ৬ রকম ভাবে ভোটচুরি হচ্ছে।” এমনকি তাঁর অভিযোগ, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি কমিশনের সাহায্যে বহু আসনে ভোটচুরি করে জয়ী হয়েছে। তবে কমিশনের সাফ বক্তব্য, “কমিশনের চোখে সব দল সমান। ভোটাররাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুজোয় সরকারি অনুদান ঘিরে ফের আইনি লড়াই, হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের
উল্লেখ্য, লাগাতার অভিযোগ আর প্রশ্নবাণের চাপে এখন স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠাই নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) প্রধান লক্ষ্য। এখন কমিশনের নেওয়া ২৮টি পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে কি ভোটপ্রক্রিয়া নিয়ে জমে থাকা সংশয় কাটবে? আগামী দিনে কতটা সফল হয় এই প্রক্রিয়াগুলো নাকি আবার নতুন কোন প্রশ্ন তুলবে বিরোধীরা এখন সেটাই দেখার।