বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ৫৬ দিনের মাথায় অবশেষে গ্রেফতার হয়েছেন শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। সন্দেশখালির ‘বাদশা’ শাহজাহানের হুঙ্কারে নাকি বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খায়! অভিযোগ উঠেছে, সন্দেশখালির ‘বাদশা’ এবং তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের দাপটের জন্য বহু বছর এখানকার মানুষ নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। কেউ ৩ বছর, কেউ ১০ বছর, কেউ আবার ১১ বছর ধরে ভোট দিতে পারেননি বলে অভিযোগ।
সামনে আরও একটা ভোট (Vote) আসন্ন। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগেই গ্রেফতার হয়েছেন শেখ শাহজাহান। তাঁর গ্রেফতারির পর সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগের আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন। তবে ভয় এখনও পুরোপুরি কাটেনি। ভোটের (Election) দিনগুলোয় কী হতো সন্দেশখালিতে? সম্প্রতি সেকথা ফাঁস করেছেন সেখানকার ভোটাররাই।
মাঝেরপাড়া নিবাসী এক মহিলা সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন, ‘ভোটের দিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতাম। ভোটের ঘরের ভেতরে ঢুকতেই কাগজপত্র নিয়ে নিখে কালি লাগিয়ে দেওয়া হতো। এরপরেই ওঁরা ভোটের কাগজটা হাত থেকে নিয়ে নিত। ইভিএমে বোতাম আর টিপতে পারতাম না’।
২০২৪ লোকসভা ভোটের আগেই গ্রেফতার হয়েছেন শেখ শাহজাহান। তবে সন্দেশখালির বাসিন্দাদের কথায়, যতদিন না তাঁকে ইডির হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে, ততদিন একটু হলেও ভয় আছে! এখন তাঁরা আনন্দ করলেও এই আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী কিনা তা নিয়ে সংশয় কাজ করছে অনেকের মনেই।
আরও পড়ুন: সন্তান দত্তক নিতে চেয়েছিলেন পার্থ-অর্পিতা! কীভাবে কাকা-ভাইঝি হয়? আদালতে বিরাট তথ্য ফাঁস করল ED
এই প্রসঙ্গে পুকুরপাড়া নিবাসী একজন বলেন, ‘শাহজাহানের শাস্তি না হওয়া অবধি আমাদের ভয় আছে। আজ আমরা আনন্দ করছি ঠিকই, তবে এটা কখনও দীর্ঘস্থায়ী বলতে পারবো না। আমরা ভোট দিতে পারতাম না। ওঁরা বলে যেত, ভোট দিতে যাও বা না যাও ভোট ঠিক পড়ে যাবে। ভোট দিতে গেলে ওঁদের ভোট না দিলে অত্যাচার করবে’। আমরা যে দেশের নাগরিক, আমরাও যে নিজের পছন্দের কাউকে ভোট দেব, সেই অধিকার ছিল না। দু’টি পঞ্চায়েত ভোটে ভোট দিতে পারিনি’।