বাংলা হান্ট ডেস্ক: আগামী রবিবার ভারতের একটি প্রতিবেশী দেশে নির্বাচন (Election) সম্পন্ন হতে চলেছে। মূলত, দীর্ঘদিন ধরে চলমান গৃহযুদ্ধের সঙ্গে লড়াই করা মায়ানমারে হতে চলেছে নির্বাচন। ওই দেশে একাধিক বিদ্রোহী গোষ্ঠী সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে বঅসামরিক নাগরিকদের ওপর। তাঁরাই, হিংসার শিকার হচ্ছেন। জানিয়ে রাখি যে, মায়ানমার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম দরিদ্র দেশ। ২০২১ সালে, মায়ানমারের সামরিক বাহিনী একটি অভ্যুত্থান ঘটিয়ে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত বঅসামরিক সরকারকে উৎখাত করে।
রবিবারে মায়ানমারে সম্পন্ন হতে চলেছে নির্বাচন (Election):
মায়ানমারে মানবিক সঙ্কট তীব্র: উল্লেখ্য যে, মায়ানমার বর্তমানে এশিয়ার সবচেয়ে গুরুতর মানবিক সঙ্কটের মুখোমুখি। দেশটি ক্রমবর্ধমান গৃহযুদ্ধ এবং ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকারও হয়েছে। ২০২৫ সালের মার্চ মাসে, মায়ানমারে একটি বড় ভূমিকম্প আঘাত হানে। যার ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। এদিকে, দেশে চলমান হিংসাত্মক আবহ এবং ধ্বংসযজ্ঞের কারণে, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য খুব কম সাহায্য পাওয়া যায়। দেশটি খাদ্য সঙ্কটেরও মুখোমুখি। দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষের দিনে দু’বেলা খাওয়ার মতো পর্যাপ্ত খাবার নেই।

মায়ানমারে ব্যাপক খাদ্য সঙ্কট: অভিযোগ রয়েছে যে মায়ানমারের শাসক জুন্টা পূর্বে দেশের তীব্র খাদ্য সঙ্কট সম্পর্কে তথ্য গোপন করেছিল। এমনকি, তিনি গবেষকদের ওপর ক্ষুধা সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ না করার এবং সহায়তা কর্মীদের তা প্রকাশ না করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেছিল। তাছাড়া, অভ্যুত্থানের পর থেকে মায়ানমারের সামরিক সরকার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, মায়ানমার বিশ্বের সবচেয়ে কম আর্থিক সাহায্য পেয়েছে। দেশটি প্রয়োজনীয় ফান্ডের মাত্র ১২ শতাংশ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ভিড় নিয়ে আর নেই চিন্তা! যাত্রীদের সুবিধার্থে মেগা প্ল্যান ভারতীয় রেলের, জানলে খুশি হবেন
মায়ানমারের ২ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে: মায়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত জানিয়েছেন যে, মানবিক সহায়তায় আমেরিকার কাটতি দেশটির জনগণের ওপর বিধ্বংসী প্রভাব ফেলছে।
আরও পড়ুন: ক্রিকেটের দুনিয়ায় দুর্ধর্ষ বিশ্বরেকর্ড! বিশ্বের সবচেয়ে সফল T20 অধিনায়ক হলেন হরমনপ্রীত কৌর
জাতিসংঘের অনুমান, মায়ানমারের ৫১ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে ২০ মিলিয়নেরই সাহায্যের প্রয়োজন। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং মুদ্রার পতনের ফলে মায়ানমারের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে বলেও জানা গিয়েছে।












