বাংলা হান্ট ডেস্ক: নতুন প্রযুক্তির ওপর ভরসা রেখে রাজ্য চালু করেছিল ইলেকট্রিক বাস পরিষেবা (Electric Bus)। লক্ষ্য ছিল পরিবেশবান্ধব, আধুনিক, ব্যয় সাশ্রয়ী গণপরিবহণ গড়ে তোলা।কিন্তু ঘটলো ব্যাঘাত।মাত্রাতিরিক্ত খরচের ফলে এই বাস পরিষেবা বন্ধ হতে চলেছ। আর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবহন দফতর ।
ব্যয়বহুল ইলেকট্রিক বাস (Electric Bus),সি এন জি বাসের ওপর নজর সরকারের
এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন নিগমের অধীনে রয়েছে ৮০টি বাস। যেখানে প্রতিটি বাসের মূল্য এক কোটি টাকা বা তারও বেশি। বাস নির্মাতা সংস্থা গুলি দাবি করেছেন, ফুল চার্জ দেওয়া থাকলে অন্তত ১২ বছরে ১০০ কিমির বেশি চলবে এই বাস। কিন্তু পাঁচ বছর কাটতে না কাটতেই দেখা গেল অন্য হাল।
পাঁচ বছরের মধ্যেই ইলেকট্রিক বাস গুলির ব্যাটারি দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ছে, পাশাপাশি রোজগারের তুলনায় ব্যয় হচ্ছে বেশি। একেকটি বাসে তিনটি করে ব্যাটারি থাকে, যার একটির দাম ১৮ লক্ষ টাকারও বেশি। ব্যাটারি বদলানো না গেলে বাস বসে যাচ্ছে। এমনকি ঠিক সময়ে মিলছে না যন্ত্রাংশ।
এছাড়াও, রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রেও হচ্ছে সমস্যা।এই বিষয়ে পরিবহণ দফতরের হিসাবে বলছে, বর্তমানে বেশিরভাগ বাস ১০০ কিমি তো দূরের কথা, ৮০ কিমি পার করছে না।এই অবস্থায় এত বড় বিনিয়োগ টিকিয়ে রাখা অসম্ভব বলে মনে করছে দফতর।
এমনকি ব্যয়বহুল বাসের বিকল্প উপায় ইতিমধ্যে ভাবতে শুরু করেছে রাজ্য। সেই ভাবনার ফলশ্রুতে হিসাবে সি এন জি বাসের কথা ভাবা হচ্ছে। এই বাস গুলির খরচ যেমন কম,তেমনি পরিষেবা স্থায়ী এবং রক্ষণাবেক্ষণের ঝামেলা ইলেকট্রিক বাসের তুলনায় অনেক কম।
আরও পড়ুন:৩০ টাকার লটারিতে ভাগ্য বদল মুর্শিদাবাদের পরিযায়ী শ্রমিকের, রাতারাতি হলেন কোটিপতি
সূত্রে খবর,পরিবহণ দফতর ২০০টি নতুন সি এন জি এসি বাস কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রতিটি বাসের দাম প্রায় ৪২-৪৪ লক্ষ টাকা। বাসগুলি ১৫ বছর পর্যন্ত পরিষেবা দিতে পারবে।পরিকল্পনা মতো সব চললে পুজোর আগেই রাস্তায় নামবে প্রথম দফার ৩০-৪০টি সিএনজি বাস।তবে গোটা শহরের মধ্যে শুধুমাত্র কসবায় এই সিএনজি বাসের স্টপেজ চালু রয়েছে।আর একটিমাত্র সিএনজি বাস স্টপেজ চালু থাকায়, এই বাসের পরিকাঠামোর ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।