অবাক কান্ড! রেলট্র্যাকের মাঝখানেই বসানো হল বিদ্যুতের খুঁটি, ভাইরাল ভিডিও দেখে অবাক নেটিজেনরা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: রাস্তায় চলাচলের সময়ে রাস্তার ঠিক পাশেই বিদ্যুতের খুঁটির উপস্থিতি আমরা সকলেই দেখেছি। কিন্তু, কখনও সেই খুঁটিকে রেলট্র্যাকের মাঝখানে বসাতে দেখেছেন? নিশ্চয়ই না! তবে, এবার ঠিক সেইরকমই এক নজিরবিহীন দৃশ্য সামনে এসেছে। পাশাপাশি, এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল (Viral) হতে শুরু করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গিয়েছে সকলের।

এদিকে, এমনিতেই যেখানে ট্রেন চলাচলের জন্য সবসময় রেলট্র্যাক ফাঁকা রাখতে হয় সেখানে আস্ত একটি খুঁটিকে দেখে উঠেছে প্রশ্নের ঝড়ও। জানা গিয়েছে মধ্যপ্রদেশের সাগরে দেখা গিয়েছে এই বিরল দৃশ্য। এমতাবস্থায়, আপনিও যদি এই নজিরবিহীন কান্ডকারখানা চাক্ষুস করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে বিনা-কাটনি রেললাইনের নির্মাণ কার্যের মাঝে ইসারওয়ারা স্টেশনের কাছে যেতে হবে।

সেখানে রেললাইনের মাঝখানে বসানো হয়েছে ওই বৈদ্যুতিক খুঁটিটিকে। এমতাবস্থায়, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এহেন গাফিলতির পরেও রেল কর্তৃপক্ষ তার ভুল স্বীকার না করে পুরো দায় চাপাচ্ছে নির্মাণ সংস্থার উপর। যদিও, জানা গিয়েছে যে, নির্মাণ সংস্থা ও বিদ্যুৎ বিভাগের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবেই এই ভুল হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন এই ভুল সংশোধনের জন্য আবার নতুন করে খরচও করতে হবে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, বর্তমানে সেখানে তৃতীয় লাইনের নির্মাণ কাজ চলছে। পাশাপাশি, ইসারওয়ারায় একটি নতুন স্টেশন নির্মাণের কাজও করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

এই প্রসঙ্গে রেলওয়ের চিফ ইঞ্জিনিয়ার প্রভাত কুমার জানিয়েছেন যে, নতুন স্টেশন তৈরি হলে পুরোনো স্টেশনটি ভেঙে রেলপথ স্থানান্তর করা হবে। তবে, এতে অতিরিক্ত খরচ হবে। যদিও, এই ঘটনায় রেলওয়ে ট্র্যাক নির্মাণকারী ঠিকাদারেরই দোষ বলে মনে করেছেন তিনি। তাঁর মতে, সংশ্লিষ্ট নির্মাণ সংস্থা লে-আউট অনুযায়ী কাজ না করে ট্র্যাকের ওপরেই বৈদ্যুতিক খুঁটি বসিয়ে দিয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে, নেটমাধ্যমে আসা এই সংক্রান্ত ভিডিওটি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হতে শুরু করেছে। যেটিতে রেলট্র্যাকের ওপরেই বৈদ্যুতিক খুঁটির উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়েছে। এমতাবস্থায়, এই ভিডিও দেখে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন নেটিজেনরা। এই প্রসঙ্গে একজন লিখেছেন, “এমন জিনিস আগে কখনও দেখিনি।” পাশাপাশি, আরেকজন লিখেছেন, “এটা শুধুমাত্র ভারতেই সম্ভব।”


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর