বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সেপ্টেম্বর মাস থেকেই উৎসবের মরসুম শুরু হয়ে গিয়েছে। গণেশ চতুর্থী, বিশ্বকর্মা পুজোর রেশ এখনও পুরোপুরি কাটেনি। সপ্তাহ দুয়েক পরেই আসছে মহালয়া। এই আবহে এবার চাকরিজীবীদের বিরাট সুখবর দিল কেন্দ্র। এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড (Employees Provident Fund) নিয়ে বিরাট ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী মনসুখ মান্ডভিয়া।
ইপিএফও নিয়ে বিরাট সুখবর (Employees Provident Fund)!
মঙ্গলবার এই নিয়ে ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনসুখ (Mansukh Mandaviya)। তিনি জানান, এবার থেকে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা তোলার সর্বাধিক সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হল। ৫০,০০০ নয়, এখন থেকে একবারে ১ লাখ টাকা তুলতে পারবেন উপভোক্তারা। অর্থাৎ এক ধাক্কায় টাকা তোলার সর্বোচ্চ সীমা দ্বিগুণ করে দেওয়া হল।
- কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?
মোদী ৩.০ সরকারের ১০০ দিন পূরণ হওয়ার দিনে মনসুখ বলেন, ‘বিয়ে, চিকিৎসার মতো নানান ক্ষেত্রে খরচ করার জন্য মানুষ বহু সময় ইপিএফও -য়ে জমানো টাকা তোলেন। আমরা এবার একবারে টাকা তোলার সর্বাধিক সীমা বাড়িয়ে ১ লক্ষ টাকা করে দিলাম’। একইসঙ্গে এই নিয়ে আরও বড় একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র (Central Government)।
আরও পড়ুনঃ কর্মবিরতি তুলছেন না জুনিয়র ডাক্তাররা! মুখ্যমন্ত্রীকে ফের নতুন ‘শর্ত’, তুমুল শোরগোল
এতদিন যে সংস্থাগুলি ইপিএফও-র (EPFO) সঙ্গে যুক্ত ছিল না, তাদেরও এবার সরকারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে আসার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু সংস্থা রয়েছে, যাদের নিজেদের অবসর সংক্রান্ত প্রকল্প চালাতে দেওয়া হয়। এবার থেকে সেই সংস্থাগুলির কাছে ইপিএফও-র সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ করে দিল কেন্দ্র।
এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী বলেন, ‘এই রকম ১৭টি সংস্থা রয়েছে। যেখানে ১ লক্ষের মতো মানুষ কর্মরত। টাকার অঙ্কটা হল ১ হাজার কোটি টাকা। ওই সংস্থাগুলি যদি নিজেদের তহবিলের বদলে ইপিএফও-য়ে চলে আসতে চায়, তাহলে তাদের সেই সুযোগ প্রদান করা হবে। কেন্দ্রের প্রভিডেন্ট ফান্ড স্কিমে আরও ভালো। এখানে স্থায়ী রিটার্ন পাওয়া যায়’।
এদিকে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের (Employees Provident Fund) সর্বোচ্চ সীমা বাড়ানো প্রসঙ্গে ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এই সিদ্ধান্ত নিতেই হতো। ৫০,০০০ টাকার সর্বোচ্চসীমার নিয়ম অনেক পুরনো হয়ে গিয়েছিল। আগেকারদিনে যে খরচের ধরণ ছিল, সেটার সঙ্গে এখনকার সময়ের কার্যত কোনও মিল নেই। তাই এবার সর্বোচ্চসীমা বৃদ্ধি করে ১ লক্ষ টাকা করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এর ফলে বহু মানুষের সুরাহা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।