বাংলা হান্ট ডেস্ক : শুক্রবার কাকভোরে হায়দরাবাদ তরুণী চিকিত্সক গণধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে অভিযুক্তদের ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হলে আর অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করে আর ঠিক তখনই তাঁদের এনকাউন্টার করে তেলেঙ্গানা পুলিশ। এনকাউন্টার ওই চার অভিযুক্তের মৃত্যু হয়। তবে 6 ডিসেম্বর অর্থা শুক্রবার এই ঘটনা ঘটলে 9 ডিসেম্বর অর্থাত্ সোমবার সন্ধে ছটা অবধি হায়দরাবাদ এনকাউন্টারে নিহত চার অভিযুক্তের দেহ সত্কার করা যাবে না বলে নির্দেশ দিল তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট।
শুক্রবার ওই চার অভিযুক্তদের এনকাউন্টার করার পর আমাদের দেহ ময়না তদন্ত করা হয়েছে এবং ময়না তদন্তের একটি ভিডিও গ্রাফ মেহবুবনগর জেলা জজের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহের বুধবার রাত্রিবেলা বাড়ি ফেরার পথে ওই মহিলা পশু চিকিত্সককে গণধর্ষণ করে খুন করে ওই চার অভিযুক্ত। এর পর ওই অভিযুক্তদের নিয়ে ফাস্ট ট্র্যাক আদালত তৈরি করে শীঘ্রই সুবিচার পাওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী।
কিন্তু তার আগেই শুক্রবার সকালে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করার জন্য ওই চার অভিযুক্তকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হলে পুলিশের সঙ্গে এক প্রকার ধস্তাধস্তি হয় এবং পুলিশের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে চার অভিযুক্তর তখনই তাঁদের এনকাউন্টার করে পুলিশ। এই ঘটনার পর গোটা দেশ জুড়ে শুভেচ্ছার বার্তা হয়েছে তবে অনেকেই পুলিশের এই কাজকে সমর্থন করেননি।
বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন একত্রিত হয়ে হায়দরাবাদ হাইকোর্টে এনকাউন্টারের ঘটনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই আগামী সোমবার সন্ধে ছটা অবধি মৃতদেহ সত্কারে স্থগিতাদেশ দিয়েছে হায়দরাবাদ উচ্চ আদালতের বিচারপতি। শুক্রবারের এনকাউন্টারের পর গোটা হায়দরাবাদ জুড়ে পুলিশের এই সাফল্যের জন্য অকাল হোলি উত্সব পালিত হয়।
রাখি বেঁধে পুলিশকে মিষ্টিও খাওয়ানো হয় এছাড়াও দেশ জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় কোথাও লজেন্স কোথাও মিষ্টি খাওয়ানো হয়েছে। অন্যদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বলতে গিয়ে তেলেঙ্গানা পুলিশ জানিয়েছেন আইন আইনের কাজ করেছে।