বাংলা হান্ট ডেস্ক : অনেক প্রচেষ্টার পর অবশেষে ধরা পড়েছেন তৃণমূলের দুঁদে নেতা শেখ শাহজাহান (Shahjahan Sheikh)। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বাহুবলীকে হাতে পেতে বেশ সময় লেগে যায় পুলিশ প্রশাসনের। যদিও তারপরই কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দিতে হয়। পুরো ঘটনায় মুখে চুনকালি পড়ে বাংলার শাসকদল তৃণমূলের (Trinamool Congress)। সম্প্রতি তদন্তে নেমে আরো বড় তথ্যের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
বহু কাঠখড় পোড়ানোর পর CBI-র হাতে সঁপে দেওয়া হয়েছে শেখ শাহজাহানকে। আর তারপরই সামনে আসে তার বিঘার পর বিঘা জমি, দুটি বড় আকারের দামী বিলাসবহুল গাড়ি। সন্দেশখালি উত্তপ্ত হতেই গাড়িগুলি আড়াল করে দেওয়া হয় এক ঘনিষ্ঠের বাড়িতে। আর খবর পেয়ে শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতির বাড়িতে হানা দিয়ে তা উদ্ধার করে ইডি (Enforcement Directorate)।
এদিকে কোর্টে বাংলার পুলিশ শাহজাহানকে তাদের কাছে রাখার দাবী জানালেও তদন্তের খাতিরে সেই সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেয় কোর্ট। আপাতত CBI এর হেফাজতেই রয়েছেন শেখ শাহজাহান। এসবের মধ্যেই ED-র আধিকারিকরা হানা দেন সরবেড়িয়াতে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ মোসলেম শেখের বাড়িতে। সেখান থেকেই বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতার একাধিক গাড়ি উদ্ধার করে ED।
আরও পড়ুন : এবার গোপন ডেরা থেকে যা উদ্ধার করল ED, শুনে আঁতকে উঠবেন! আরও বিপাকে শাহজাহান
গাড়িগুলো খোলার জন্য মেকানিক ডাকতে হয় ED কে। এরপর গাড়ির লক ভেঙ্গে গাড়ি দুটি বাজেয়াপ্ত করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, গাড়ি দুটিকে এখন কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে গিয়েই গাড়িগুলি পরীক্ষা করা হবে।
আরও পড়ুন : ২৬-এ যেই জিতুক, বাংলার সরকারের মেয়াদ হবে ৩ বছর! ‘এক দেশ, এক ভোট’ নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য
উল্লেখ্য, আজ নয় বিগত বেশ কিছু সময় ধরে বাংলায় তো বটেই, সারাদেশেই সন্দেশখালিতে ঘটে যাওয়া অকথ্য নির্মম অত্যাচারের ঘটনা উঠে আসে। স্থানীয় বাসিন্দারা মিডিয়ার সামনে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন। জনতার সামনে চলে আসে শাহজাহানের কুকর্মের ঝাঁপি। কীভাবে এত সম্পদের মালিক হয়েছেন শাহজাহান তাই খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।