বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (Recruitment Scam) অন্যতম অভিযুক্ত হলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra)। কালীঘাটের কাকু নামেই অবশ্য অধিক পরিচিত তিনি। কয়েকদিন আগেই আদালতে আসার পথে আচমকা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ‘কাকু’ (Kalighater Kaku)। এবার তাঁকে নিয়েই সামনে আসছে বড় খবর।
নিজেকে ‘নির্দোষ’ বলে দাবি কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku)!
বর্তমানে শহর কলকাতার বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ। এদিন সেখান থেকেই তাঁকে ভার্চুয়ালি আদালতে হাজির করানো হয়। দীর্ঘ টানাপড়েন শেষে আজ প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির মামলায় ‘কাকু’র বিরুদ্ধে চার্জগঠন করা হয়। সেই সঙ্গেই জমা দেওয়া হয় তাঁর মেডিক্যাল রিপোর্ট।
জানা যাচ্ছে, এদিন কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিচারক। সুজয়কৃষ্ণ এদিন ফের নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। সেই সঙ্গেই প্রশ্ন করেন, ‘আমি টাকা নিয়েছি কে বলল?’ পাল্টা বিচারক জানান, তদন্তকারীদের কাছে যে প্রমাণ রয়েছে, সেটা চার্জ গঠনের জন্য যথেষ্ট।
আরও পড়ুনঃ সরকার টাকা পাঠাতেই গায়েব! আবাস যোজনা নিয়ে বিরাট অভিযোগ! জোর শোরগোল
বিচারক এদিন ‘কাকু’কে বলেন, ‘এজেন্সির কাছে সম্পূর্ণ তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। যা তথ্যপ্রমাণ রয়েছে তাতে বোঝা যাচ্ছে সকলের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা সম্ভব। সুজয়বাবু, আপনার বিরুদ্ধে বড়সড় দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এই কাজের জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কুন্তল ঘোষ, মানিক ভট্টাচার্যদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন’।
এখানেই না থেমে বিচারক আরও বলেন, ‘অবৈধভাবে আপনি চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। আপনি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের একজন বড় কর্মকর্তা ছিলেন। দুর্নীতির টাকা থেকে উপার্জন করেছেন। লুকিয়ে রাখার কাজ করেছেন। আমার মনে হয়েছে, আপনি অবৈধভাবে রোজগারের কাজে জড়িত ছিলেন। সেই জন্য আপনার বিরুদ্ধে পিএমএলএ আইনের ৪ ধারায় চার্জ গঠন করা হচ্ছে’।
উল্লেখ্য, গত সোমবার নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির মামলায় চার্জ গঠনের জন্য আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যান কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku)। তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালের এইচডিইউতে রয়েছেন তিনি। সুজয়কৃষ্ণের চিকিৎসার জন্য গঠন করা হয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড। জানা যাচ্ছে, ‘কাকু’র পেসমেকার বদল করার দরকার আছে কিনা সেটা জানতে তাঁর অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করা হবে।