তদন্তে নেমে “গুপ্তধনের সন্ধান” পেল ED! কংগ্রেস বিধায়কের লকার থেকে উদ্ধার ৪০ কেজি সোনা

Published on:

Published on:

Enforcement Directorate recovers 40 kg gold from Congress MLA's locker.

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত চঞ্চল্যকর আপডেট সামনে এসেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, অনলাইন বেটিং র‍্যাকেটের তদন্ত করতে গিয়ে কর্ণাটকের এক কংগ্রেস বিধায়কের ২ টি লকার থেকে ৪০ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তথা ED (Enforcement Directorate)। ওই সোনার মূল্য আনুমানিক ৫০ কোটি টাকারও বেশি। ED আধিকারিকদের মতে, PMLA ২০০২ এর অধীনে বেঙ্গালুরু আঞ্চলিক কার্যালয় কর্তৃক তল্লাশি এই অভিযান সম্পন্ন হয়েছিল। সামগ্রিকভাবে এই মামলার তদন্তে এখনও পর্যন্ত ১৫০ কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে প্রায় ২১ কেজি সোনার বার, নগদ টাকা, গয়না এবং বিলাসবহুল যানবাহণও।

কী জানিয়েছে ED (Enforcement Directorate)?

জানিয়ে রাখি যে, চিত্রদুর্গ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক কেসি বীরেন্দ্রকে চলতি বছরের অগাস্ট মাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং তারপর থেকে তিনি বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। ED (Enforcement Directorate)-র তদন্তে King567 এবং Raja567-এর মতো বেশ কয়েকটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পরিচালিত ও
২,০০০ কোটি টাকার একটি বেটিং নেটওয়ার্কের সন্ধান পাওয়া গেছে।

একটি বিবৃতিতে, ED (Enforcement Directorate) জানিয়েছে যে, বীরেন্দ্র তাঁর বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি অবৈধ বেটিং ওয়েবসাইট পরিচালনা করেছিলেন এবং সাধারণ মানুষদের সঙ্গে প্রতারণা চালাতেন। এই প্ল্যাটফর্মগুলি থেকে সংগৃহীত অর্থ ফোনপ্যায়সা সহ একাধিক গেটওয়ে দিয়ে পাঠানো হত এবং ভারত জুড়ে মধ্যস্থতাকারীদের দ্বারা পরিচালিত হাজার হাজার “অপরিচিত” অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে স্থানান্তরিত হত।

আরও পড়ুন: এক ঘোষণাতেই রকেটের গতি! টাটা গ্রুপের এই কোম্পানির শেয়ারে বিরাট উত্থান, লাভবান বিনিয়োগকারীরা

তদন্তে (Enforcement Directorate) আরও জানা গেছে যে, বেটিং থেকে প্রাপ্ত অর্থ বিদেশে বিলাসবহুল ভ্রমণ থেকে শুরু করে ভিসা এবং আতিথেয়তা পরিষেবার খরচে ব্যবহৃত হত। সংস্থাটি জানিয়েছে, মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন, বাল্ক এসএমএস ক্যাম্পেইন এবং প্ল্যাটফর্ম হোস্টিংয়ের জন্য অর্থপ্রদানও বেটিং নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: বহুগুণ বাড়বে নৌবাহিনীর শক্তি! তৈরি হবে ভারতের প্রথম বৈদ্যুতিক যুদ্ধজাহাজ, এই সংস্থার সঙ্গে পরিকল্পনা

ED (Enforcement Directorate)-র মতে, “প্রমাণ থেকে বোঝা যায় যে অবৈধ অনলাইন কার্যকলাপ থেকে প্রাপ্ত অর্থের উৎস গোপন করার জন্য একাধিক মধ্যস্থতাকারী অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।” এমতাবস্থায়, ED বীরেন্দ্র এবং তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে যুক্ত অপরাধমূলক আয়ের উৎস খুঁজে বের করতে এবং অতিরিক্ত সম্পদ শনাক্ত করার ক্ষেত্রে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।