বাংলাহান্ট ডেস্ক : এগিয়ে আসছে লোকসভা নির্বাচন। মসনদ দখলের লড়াইয়ে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ কেউই। এদিকে, একের পর এক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে শাসক দল। নিচু তলার কর্মী থেকে শুরু করে হেভিওয়েট নেতারা অনেকেই জেলবন্দী। পার্থ, জ্যোতিপ্রিয়র পাশাপাশি এবার ইডি টার্গেট লিস্টে উঠে এসেছে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের নামও।
তারপর থেকেই জোর জল্পনা শুরু হয়েছে ওয়াকিবহাল মহলে। জানা গিয়েছে, ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের কোষাধ্যক্ষ অরূপ বিশ্বাসকে মঙ্গলবার তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে, ঘাসফুল শিবিরের এই পোড়খাওয়া নেতা অবশ্য বেশ খানিকটা সময় চেয়েছেন বলেই সূত্রের খবর।
আরোও পড়ুন : ‘কেন্দ্রীয় হারেই ডিএ রাজ্যে…’ মহার্ঘ্য ভাতা নিয়ে এবার বড় মন্তব্য খোদ মুখ্যমন্ত্রীর
কিন্তু, ইডি সেই সময় দেবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়৷ ইডি আধিকারিকদের দাবি অনুযায়ী, ২০১৪ সালের নির্বাচনী প্রচারের জন্য তৃণমূলের কয়েক কোটি টাকা মিটিয়ে দিয়েছিল চিটফান্ড অ্যালকেমিস্ট। তবে, ঠিক কি কারণে অ্যালকেমিস্টের সঙ্গে ঘাসফুলের এই লেনদেন এবং সেই তথ্য যাচাইয়ের জন্যেই ডেকে পাঠানো হয়েছে অরূপ বিশ্বাসকে।
আরোও পড়ুন : এই রেশন কার্ডে মাত্র ৪২৮ টাকায় মিলবে গ্যাস সিলিন্ডার! ভোটের আগে চমকে দেওয়া ঘোষণা রাজ্য সরকারের
এই বিষয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “কে কাকে নোটিস পাঠাবে সেটা তদন্তকারী সংস্থার ব্যাপার। তবে অ্যালকেমিস্ট মামলার তদন্ত হলে সবার আগে মিঠুন চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করা উচিত। উনি অ্যালকেমিস্টের ব্র্যান্ড অ্যাম্বসাডর ছিলেন। ওঁর ছবি দেখিয়ে টাকা তোলা হয়েছে। উনি এখন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বিজেপি ওঁকে পদ্মভূষণ দিয়েছে। তাতেই কি রেহাই পেয়ে গেলেন তিনি?”
পালটা রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভটট্টাচার্যের কথায়, প্রতিহিংসার রাজনীতি মনে করলে আদালতে যাক তৃণমূল। এই মামলায় অবশ্য কয়েকদিন আগেই বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়কেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি৷ এদিকে, তৃণমূল সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, লোকসভা নির্বাচনের তাদের চাপে ফেলতেই দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে তলব করা হচ্ছে৷