বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের শিরোনামে রাজ্যের প্রভাবশালী মন্ত্রী সুজিত বসুর পরিবার। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের একবার ইডির (Enforcement Directorate) নজরে মন্ত্রী সুজিত বসুর ছেলে। এর আগে সুজিত বসুর স্ত্রী, কন্যা ও জামাইকে তলব করেছিল ইডি।
ইডির (Enforcement Directorate) নজরে সুজিত পুত্র সমুদ্র
পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই একে একে তলব পড়ছে পরিবারের সদস্যদের হাতে। বৃহস্পতিবার হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল সুজিতের পুত্র সমুদ্র বসুর। কিন্তু ইডি (Enforcement Directorate) সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যক্তিগত কাজের কারণ দেখিয়ে তিনি হাজিরা দেননি। জানিয়েছেন, অন্য কোনও দিন তিনি দপ্তরে যাবেন।
তার আগের দিন, বুধবারও হাজিরা দেননি সুজিতের স্ত্রী। ইডিকে (Enforcement Directorate) তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে চিঠি পাঠান। আর সপ্তাহের শুরুতেই হাজিরা দিয়েছিলেন সুজিতের কন্যা মোহিনী বসু। হাতে নথিপত্র নিয়ে তিনি ইডি দপ্তরে যান তদন্তকারীদের সঙ্গে কথা বলতে। সোমবার মোহিনীর স্বামীকেও তলব করা হয়েছিল, এবং তিনি হাজিরাও দেন।
সূত্রের দাবি, সুজিত বসুর কন্যা এবং তার স্বামীর দাম্পত্য সম্পর্কে কিছুদিন আগেই বিচ্ছেদ হয়েছে। তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, জামাইয়ের পরিবারের ব্যবসায় পুর নিয়োগ দুর্নীতির টাকা কোনও ভাবে ব্যবহার হয়েছিল কি না। এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছেন, তাঁদের পরিবার পালিয়ে যাওয়ার লোক নয়, সহযোগিতাই করবেন।
তদন্ত কিন্তু এখানেই থেমে নেই। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসেই ইডি (Enforcement Directorate) তল্লাশি চালিয়েছিল লেকটাউনে সুজিত বসুর দু’টি বাড়িতে। দীর্ঘ তল্লাশির শেষে মিলেছিল বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল মন্ত্রীর মোবাইল ফোনও। সম্প্রতি তদন্তে নতুন করে তৎপরতা বাড়িয়েছে ইডি। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। সল্টলেক সেক্টর ওয়ানে সুজিতের অফিস এবং গোলাহাটায় তাঁর পুত্রের ধাবাতেও হানা দেয় ইডি।

আরও পড়ুনঃ আদালত চলাকালীনই হাই কোর্টে পুলিসের দাপট! ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ
ক্রমাগত তলব, হাজিরা ও তল্লাশির জেরে পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নতুন নতুন মোড় তৈরি হচ্ছে। তদন্তকারীদের (Enforcement Directorate) নজর এখন সুজিত বসুর পরিবারের আর্থিক লেনদেন এবং ব্যবসায়িক যোগসূত্রের দিকেও।












