বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবার ভোর থেকেই রাজ্যজুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য। প্রথমবার বালিপাচার মামলায় সরাসরি তদন্তে নামল ইডি (Enforcement Directorates)। সকাল সাতটা নাগাদ একযোগে ঝাড়গ্রাম, বেহালা, পশ্চিম মেদিনীপুর ও নদিয়ায় শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। অভিযোগ, সুবর্ণরেখা নদী থেকে দীর্ঘদিন ধরে চলছে বালির অবৈধ কারবার।
বালিপাচার চক্রের তদন্তে নামল ইডি (Enforcement Directorates)
এদিন ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে বিশালাকার তিনতলা বাড়িতে হানা দেয় ইডি (Enforcement Directorates)। বাড়িটি শেখ জহিরুল আলির। আগে ভিলেজ পুলিশ ছিলেন তিনি, পরে চাকরি ছেড়ে বালির ব্যবসায় নামেন বলে জানা যায়। স্থানীয়দের দাবি, তিনি বৈধ ব্যবসাই করেন। তবে ইডি (Enforcement Directorates) সূত্রে খবর, তাঁর মালিকানাধীন একাধিক খাদান থেকে অবৈধভাবে বালি তোলা হচ্ছিল। গাড়ি ও বাড়ি জুড়ে তল্লাশিতে মিলেছে একাধিক নথি। এরপরেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘিরে রেখেছে গোটা এলাকা।
একই সঙ্গে তল্লাশি চলে বেহালার জেমস লং সরণীর জিডি মাইনিং সংস্থায়। এই সংস্থার আরেকটি অফিস রয়েছে বিধাননগরের সেক্টর ফাইভে। দুই অফিসেই চলছে নথি খতিয়ে দেখা। সংস্থাটি সরাসরি বালি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, এমনটাই প্রাথমিক ধারণা তদন্তকারীদের। এছাড়া কল্যাণীতেও হানা দেয় ইডির (Enforcement Directorates) টিম।
এছাড়া পশ্চিম মেদিনীপুরে সৌরভ রায় নামের এক বালি ব্যবসায়ীর বাড়িতে এদিন সকাল থেকেই চলছে ইডির (Enforcement Directorates) তল্লাশি। একইসঙ্গে নদিয়া জেলাতেও অভিযান শুরু হয়। মোট চার থেকে পাঁচটি টিম আলাদা আলাদা জায়গায় এই তদন্ত চালাচ্ছে বলে খবর সূত্রের। অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে বালিপাচারের ফলে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভে রবীন্দ্রনাথকে অপমান? ক্ষোভ উগরে দিলেন শুভেন্দু
ইডির (Enforcement Directorates) দাবি, রাজ্যে বালিপাচার থেকে মোটা অঙ্কের টাকা রোজগার হচ্ছে। সেই পাচারের দিকটিই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই বালি পাচার চক্রে একাধিক রাজনীতিক, ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারের নাম উঠে আসতে পারে বলে আশঙ্কা। সোমবার সকালের এই অভিযানকে ঘিরে ঝাড়গ্রাম থেকে কলকাতা সর্বত্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।