নকল রুখতে আজব নিদান! অন্তর্বাস, ডিমের খোলা মাথায় পরিয়ে পড়ুয়াদের পরীক্ষা নিলেন শিক্ষক

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে যেকোনো পরীক্ষাতেই টোকাটুকি একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি, দিন দিন বেড়েই চলেছে এহেন ঘটনা। যার জেরে পড়ুয়াদের সঠিক মান নির্ধারণের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষিকদের। তবে, এবার টোকাটুকি এড়াতে এক অভিনব উপায় অবলম্বন করলেন পড়ুয়ারা। মূলত, টোকাটুকি আটকাতে “অ্যান্টি চিটিং হ্যাট” (Anti Cheating Hat) পরেই পরীক্ষার হলে উপস্থিত হলেন তাঁরা। নির্বিঘ্নে দেওয়া হল পরীক্ষাও। এদিকে, এই ছবিই তুমুলগতিতে ভাইরালও হতে শুরু করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)।

জানা গিয়েছে, ফিলিপিন্সের (Philippines) লেগাজপি শহরের বাইকল ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়ারাই এই কাণ্ডে ঘটিয়েছেন। টোকাটুকি এড়াতে তাঁরা নিজেরাই তৈরি করে নেন “অ্যান্টি চিটিং হ্যাট”। এমতাবস্থায়, সেই টুপি পরার ফলে তাঁরা ঘাড় ঘোরালেও পাশের জনের খাতায় চোখ রাখতে পারছিলেন না। যার জেরে টোকাটুকির সম্ভাবনাও এক্কেবারে কমে যায়। সর্বোপরি, বাড়িতে থাকা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়েই তাঁরা তাঁদের ওই টুপিগুলি বানিয়ে ফেলেন। এদিকে, পড়ুয়াদের এহেন বিচিত্র “অ্যান্টি চিটিং হ্যাট” দেখে অবাক হয়েছেন নেটিজেনরাও।

যদিও, টোকাটুকি এড়াতে এই বিশেষ উপায়ের কথা প্রথম মাথায় এসেছিল ওই কলেজের অধ্যাপিকা অধ্যাপক মারি জয় মান্ডেন-ওটিজের মাথাতে। এদিকে, তিনি আবার থাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই বুদ্ধিটি পেয়েছিলেন। এমতাবস্থায়, সেটাই তাঁর পড়ুয়াদের ওপরও প্রয়োগ করেন তিনি। মিড-টার্ম পরীক্ষায় পড়ুয়ারা যে ভাবে টোকাটুকি করেন সেটি আটকাতেই তিনি ওই অভিনব “অ্যান্টি চিটিং হ্যাট” তৈরির দায়িত্ব দিয়েছিলেন পড়ুয়াদের ওপরেই।

এদিকে, পড়ুয়ারাও সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে প্রত্যেকে আলাদা আলাদা “অ্যান্টি চিটিং হ্যাট” তৈরি করে ফেলেন। পাশাপাশি, ওই অধ্যাপিকা ওই টুপি পরিহিত অবস্থায় পড়ুয়াদের ছবিগুলি নেটমাধ্যমে শেয়ারও করেন। মূলত, কার্ডবোর্ড, হ্যাঙ্গার এবং হেলমেটের মত জিনিস দিয়ে তৈরি ওই টুপিগুলিকে দেখে সকলেই অবাক হয়েছেন। এদিকে, ওই ছবিগুলি শেয়ার করে অধ্যাপিকা লিখেছেন, “অ্যান্টি চিটিং হ্যাট সকলকে মনে করাতে চায় যে আর টোকাটুকি নয়। বরং মন দিয়ে লেখাপড়া করা উচিত। সততা এবং বিশ্বাসযোগ্যতার মতো বিষয়গুলিকে আমরা যেন সবসময় গুরুত্ব দিতে পারি।”

পাশাপাশি, আরেকটি পোস্টে ওটিজ লিখেছেন, “আমি সত্যিই আমার ছাত্রছাত্রীদের ভালোবাসি এবং আমি তাদের জন্য গর্বিত। কারণ তারা তাদের ইঞ্জিনিয়ারিং মিডটার্ম পরীক্ষার চাপ সামলেও এই মজাদার জিনিস উপস্থাপিত করেছে। তোমাদের অনেক ধন্যবাদ।” এদিকে, ইতিমধ্যেই নেটমাধ্যমে তুমুল ভাইরাল হতে শুরু করেছে এই ছবিগুলি। পাশাপাশি, “অ্যান্টি চিটিং হ্যাট” পরিহিত অবস্থায় পড়ুয়াদের পরীক্ষা দিতে দেখেও বিভিন্ন মজাদার প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন নেটিজেনরা।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর