বাংলাহান্ট ডেস্ক : চুরি তো কতরকমেরই হয়, কিন্তু তাবলে এরকম? বিহারের রোহতাস জেলায় চুরি গেল আস্ত ৫০০ টনের একখানা ব্রিজ! চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় তাজ্জ্বব সকলেই। মজার ব্যাপার হল, দিন দুপুরেই সারা হয় এহেন পুকুর চুরিটি, কিন্তু বুঝতে অবধি পারেনি কেউই।
জানা যাচ্ছে সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের ভেক ধরে এসেছিল চোরেরা। নিজেদের অফিসার পরিচয় দিয়ে সেচ দপ্তরের কর্মচারীদের দিয়েই তারা কাটায় ব্রিজটি। এরপর ৬০ ফুট লম্বা এবং ৫০ টন ওজনের ব্রিজটিকে গাড়িতে তুলে চম্পট দেয় চোরের দল। পুরো ব্যাপারটিই এত বিশ্বাসযোগ্যতার সঙ্গে করা হয় যে, সেচ দপ্তরের যে কর্মীরা ব্রিজটি কাটলেন তাঁরাও ঘূণাক্ষরে টের পেলেন না বিরাট এই চুরিতে সাহায্য করছেন তাঁরা।
১৯৭৬ সালে রোহতাস জেলার নাসরিগঞ্জ এলাকায় একটি খালের উপর এই ব্রিজটি তৈরি করে সরকার। তিন দিন ধরে বুলডোজার এবং গ্যাসকাটার অবধি ব্যাবহার করে ব্রিজ চুরি করল চোরেরা। তারপর সেই ব্রিজই লরিতে তুলে ভেগে পড়ল সকলের চোখে ধুলো দিয়ে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, খালের উপরের এই ব্রিজটি পুরোনো হয়ে যাওয়ায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছিল। ফলে সম্প্রতি ওই সেতুরই সমান্তরাল আরও একটি নতুন কংক্রিটের সেতু বানানো হয়েছে। ফলে পুরোনো লোহার সেতুটি অপসারণের আবেদন জানান গ্রামবাসীরাই। আর গ্রামবাসীদের এক আবেদনকেই কাজে লাগায় চোর।
সেচদপ্তরের আধিকারিক সেজে এসে তারা জানায় যে বিভাগীয় নিয়ম মেনেই ব্রিজটি কাটতে এসেছে তারা। তিনদিন ধরে চলে কাটাকাটি। তাদের কৌশলের জেরে তাদের বিশ্বাস করতে বাধ্য হয় গ্রামবাসীরা। ফলে দিনেদুপুরে চুরি যায় আস্ত ব্রিজ। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই সেচ দপ্তরের জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার আরশাদ কামান শামসি জানিয়েছেন, চোরেদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে সেচ দপ্তর।