পেনশনের টেনশন ছাড়ুন! এই ৭ সুবিধা দেয় EPFO! অবশ্যই মাথায় রাখুন বেসরকারি কর্মচারীরা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : নিয়ম অনুযায়ী ১০ বছর কোনও সদস্য যদি EPFO-তে অবদান রাখেন তাহলে তিনি পেনশন পাওয়ার যোগ্য হন। সাধারণত ৫৮ বছর বয়স থেকে পেনশন শুরু হয় EPFO-তে। এছাড়াও বেশ কিছু শর্ত রয়েছে যার অধীনে EPFO সদস্য ও তার পরিবারকে দেওয়া হয়ে থাকে পেনশন। EPFO-তে ৭ ধরনের পেনশন চালু রয়েছে।

আজ আমরা জেনে নেব এই ৭ ধরনের EPFO পেনশন সম্পর্কে।

১. অবসরকালীন পেনশন : সদস্যর ৫৮ বছর সম্পূর্ণ হলে অবসরকালীন পেনশন দিয়ে থাকে ইপিএফও। পেনশন তহবিলে সদস্য কত টাকা অবদান রেখেছেন তার উপর নির্ভর হয় পেনশনের পরিমাণ। সদস্য চাইলে ৫৮ বছরের পর ৬০ বছর বয়স থেকেও দাবি করতে পারেন পেনশনের। সেক্ষেত্রে পেনশনের পরিমাণ ৪ শতাংশ বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়।

   

২. অক্ষমতা পেনশন : চাকরি করাকালীন স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে অক্ষমতার সম্মুখীন হলে এই পেনশন দেওয়া হয়ে থাকে। এই পেনশনের ক্ষেত্রে ১০ বছরের জন্য তহবিলে অবদান ও বয়সের শর্ত প্রযোজ্য হয় না।

আরোও পড়ুন : Gold Price : দুম-দারাক্কা দাম কমছে সোনার! আজ দোকানে গেলেই হবে বিরাট লাভ, কলকাতায় রেট কত?

৩. বিধবা ও সন্তান পেনশন : যদি কোনও সদস্যর মৃত্যু হয় তাহলে তার বিধবা স্ত্রী ও ২৫ বছর বয়সের কম ২ জন সন্তান এই পেনশনের অধিকারী হন। ২৫ বছর বয়সে প্রথম সন্তানের পেনশন বন্ধ হয়ে গেলে তৃতীয় সন্তান থাকলে তার পেনশন চালু হয়। যদি গ্রাহকের আকস্মিক মৃত্যু হয় তাহলেও ১০ বছরের অবদানের নিয়ম প্রযোজ্য নয়। যদি সদস্য ১ বছর অবদান রাখার পর মারা যান তাহলেও তার বিধবা স্ত্রী ও সন্তান পেনশনের অধিকারী হবেন।

৪. অনাথ পেনশন : সদস্য ও তার স্ত্রী দুজনেই যদি মারা যান তাহলে তাদের ২৫ বছর বয়সের কম সন্তান পেনশন পাবেন। তবে সেই সন্তানের ২৫ বছর বয়স হয়ে গেলে পেনশন বন্ধ হয়ে যাবে।

আরোও পড়ুন : খুলল কপাল? সুপ্রিম কোর্টে SSC ২৬০০০ চাকরি বাতিল মামলায় বিরাট আপডেট

৫. নমিনি পেনশন : সদস্যর যদি স্ত্রী না থাকে তাহলে তার মৃত্যুর পর নমিনি পেনশনের টাকা পাবেন। যদি সদস্য বাবা ও মা উভয়কে নমিনি করে যান তাহলে নির্দিষ্ট শেয়ার অনুযায়ী তারা পেনশনের ভাগ পাবেন। অন্য নমিনির ক্ষেত্রে তিনি গোটা অর্থই পাওয়ার যোগ্য হয়ে উঠবেন।

EPFO

৬. নির্ভরশীল পিতা-মাতার পেনশন : সিঙ্গেল ইপিএফও সদস্য মারা গেলে তার ওপর নির্ভরশীল পিতাকে পেনশন দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। পিতার মৃত্যুর পর সেই পেনশনের অধিকারী হবেন তার মা। সারা জীবন এই পেনশন চালু থাকবে নিয়ম অনুযায়ী। সেক্ষেত্রে পূরণ করতে হয় 10D ফর্ম।

৭. অগ্রিম পেনশন : ৫০ বছর বয়স অতিক্রান্ত হয়ে গেলে সদস্য অগ্রিম পেনশনের দাবি জানাতে পারেন। সেক্ষেত্রে প্রতি বছর অনুযায়ী ৪ শতাংশ করে কমিয়ে দেওয়া হয় পেনশনের মূল্য।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর