বাংলা হান্ট ডেস্ক : ধর্মতলার টার্মিনাসে (Dharmatala terminus) আর দাঁড়াবেনা বাস। এবার থেকে বাস আসবে যাত্রী তুলবে আর বেরিয়ে যাবে। দীর্ঘদিন ধরেই সিটি সার্ভিসের বাসগুলো ধর্মতলার বাস টার্মিনাসে দাঁড়াত। তবে বাস টার্মিনাস সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের পর বেশ ভালোরকম সমস্যায় পড়েছে বাস মালিক সংগঠনগুলি। এবার থেকে বাস কোথায় দাঁড়াবে? সব মিলিয়ে ধর্মতলা বাস স্ট্যান্ড নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত।
গত সোমবার বিকেলে বাস, মিনিবাস, দূরপাল্লার বাস মালিকদের সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করা হয়। বৈঠক শেষে বাস মালিকরা তাদের সমস্যার কথা জানায়। বাস মালিকরা বুঝে উঠতে পারছেন না আর্থিক ভাবে লাভজনক না হলে কীভাবে তারা বাস রাস্তায় নামাবেন। বাস মালিকদের প্রশ্ন, ধর্মতলায় এসে বাস ধরার যে সুবিধা, অন্য জায়গায় সেই সুবিধা কি আদৌ মিলবে?
আসলে ট্রেন থেকে শুরু করে মেট্রো পরিবহণ, সড়কপথ বা জলপথ, সবদিক দিয়েই ধর্মতলার যোগসূত্র রয়েছে। এই সুবিধা কি অন্য কোথাও পাওয়া যাবে? এমনটাই প্রশ্ন তুলেছে বাস মালিক সংগঠন। এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার কথা সামনে এনেছে তারা। বাস মালিকদের বক্তব্য, বাস শ্রমিকেরা দীর্ঘ পথ গাড়ি চালিয়ে শৌচালয়ের সময়ও যদি না পান তাহলে তাতেও সমস্যা।
উল্লেখ্য, ধর্মতলা চত্বরের একটি বড় জায়গা জুড়ে রয়েছে ওই বাস টার্মিনাস। ধর্মতলা যেহেতু শহরের মধ্যস্থলে অবস্থিত তাই এখানে যানজট বাড়ছে। এই যানজট কমানোর জন্যই এই পদক্ষেপ নিয়েছে কর্মকর্তারা। উল্লেখ্য, রিবেশের বিষয়টিকে সামনে রেখে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। আর সেই মামলার কথা মাথায় রেখেই এই রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
এই মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট রায় দিয়েছে, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের মতো সৌধকে রক্ষা করা প্রয়োজন। উল্লেখ্য, ধর্মতলার বিকল্প হিসেবে প্রথমে সাঁতরাগাছির কথা ভাবা হয়েছিল। রাজ্য সরকার তো সেখানে একটি ট্রান্সপোর্ট হাব করার জন্যও পরিকল্পনা করছে। তবে এই সিদ্ধান্তে অখুশি বাস মালিকদের একাংশ।
উল্লেখ্য, এসপ্লানেড তথা ময়দান এলাকার জমি যেহেতু সেনাবাহিনীর অধীন, তাই তাদের অনুমতিও নিতে হবে। গত জুলাই মাসেই বাস টার্মিনাসের সমস্যা নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয় নবান্নে। এইদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুরসভার কমিশনার, সেনার প্রতিনিধিরা, মেট্রো রেল, কলকাতা পুলিশ, কলকাতা পুরনগরোন্নয়ন দফতর, রাইটের প্রতিনিধিরা। পাশাপাশি এটাও শোনা যাচ্ছে, ধর্মতলার বিকল্প হিসেবে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ রাজ্য সরকারকে হাইড রোডের কাছে সাড়ে চার হেক্টর জমি বরাদ্দ করেছিল।