বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চীনের (Chaina) উহান শহরে শুরু হয়ে করোনা ভাইরাস (COVID-19) সমগ্র বিশ্বকে গ্রাস করে নিয়েছে। এখনও অবধি সমগ্র বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১১ লক্ষ এবং মৃতের সংখ্যা প্রায় ৬৯ হাজার। করোনা ভাইরাসের ফলে এখনও অবধি ইউরোপের (Europe) দেশগুলো বেশি আক্রান্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন খুব শীঘ্রই এই ইউরোপের দেশগুলো দুর্বল হয়ে পড়বে।
ইউরোপের সঙ্গে ২৭ টি দেশের একটি সংগঠন রয়েছে। এই সদস্য রাষ্ট্রগুলো একে অপররে সঙ্গে একত্রিত হয়ে কাজ করে এবং এদের আইনি ব্যবস্থা একই। বৈদেশিক সমস্যায় এরা একে অপরের পাশে দাঁড়ায়।
করোনা ভাইরাসের ফলে প্রভূত ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে ইতালি, স্পেন এবং ফ্রান্স। যার ফলে এই দেশগুলো সামাজিক এবং আর্থিক দিক থেকে দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই দক্ষিণ ইউরোপের দেশের ক্ষতির ফলে উত্তর ইউরোপের দেশও প্রভাবিত হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য ইউরোপীয় সংগঠনের ৯ টি দেশ মিলিতভাবে মিউচ্যুলাইজ ডেথের প্রস্তাব দিলে নেদারল্যান্ড এবং জার্মানি তা খারজ করে দেয়।
এই প্রস্তাবের ফলে লকডাউন এবং করোনার ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতি নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতে চেয়েছিল দেশগুলো। কিন্তু নেদারল্যান্ড এবং জার্মানি তা নাকচ করে দেয়। তারা কারণ হিসাবে দেখায়, উত্তর ইউরোপের দেশ দক্ষিণ ইউরোপের দেশের থেকে বেশি শক্তিশালি এবং তাঁদের যোগদানও অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। এর ফলে ইউরোপের পুরনো অন্তর্দন্ধ আবার মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে, দুভাগে ভাগ হয়ে যায় ইউরোপ। বর্তমানে যদি সমগ্র ইউরোপ একত্রিত না হয়, তাহলে তাঁদের আর্থিক দিক অত্যন্ত দুর্বল হয়ে যাবে।